বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে, নতুন পরিচালক আনা হবে: ক্রীড়া উপদেষ্টা
দেশের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। সেই রেশে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। প্রায় একযুগ ধরে ক্রিকেট বোর্ড শাসন করে আসছিল আওয়ামী লীগের জড়িত ব্যক্তিরা। সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে যাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। পদত্যাগ করেছেন বাকি সদস্যরাও। নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদকে তাই স্বল্প লোকবল নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। বিষয়টি নজর এড়ায়নি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া প্রতিটি ফেডারেশনের জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতিবছর কার্যক্রমের রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট দেওয়া হবে। কেউ যদি দুর্নীতি করে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ফুটবলসহ বেশ কিছু ফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’
কোনো দেশের সরকার চাইলেই বিসিবিতে পরিচালক নিয়োগ দিতে পারে না। এক্ষেত্রে আইসিসির বাধ্যবাধকতা আছে। ফুটবল ফেডারেশনের ক্ষেত্রেও তাই। তবে কিছু ফেডারেশনের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান আসিফ মাহমুদ, ‘বিভিন্ন কমিটি নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা খতিযে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে স্থবিরতা আছে, সেখানে নতুন কমিটি করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
খেলাধুলাকে রাজনৈতিকীকরণ করে ফেলা হয়েছে বিগত আমলে, না হলে দেশের পট পরিবর্তন হলেও এগুলো চলতো তার গতিতে। এ প্রসঙ্গে টেনে আসিফ বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক, আমাদের খেলাধুলাকে যেভাবে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। বিসিবিতে তো ধারাবাহিকতা ভাঙার কোনো কথা ছিল না। যদি বিসিবিতে রাজনৈতিকীকরণ না করা হতো, তাহলে দেশে পরিবর্তন আসলেও বিসিবি তার মতোই থাকতে পারতো; ধারাবাহিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নিলাম, তখন বিসিবির পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছিল না। কারও সঙ্গে যে পরামর্শ করব, এমন একটা লোক পর্যন্ত ছিল না। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে, গঠনতান্ত্রিক অনেক জটিলতা ছিল। আইসিসির যে ফ্রেমওয়ার্ক আছে তার মধ্যে থেকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিসিবিতে পরিবর্তন এনেছি।’