বিশ্বরেকর্ডে রোনালদোর পাশে হলান্ড
গোল করাই যার নিত্যদিনের স্বভাব, সে তো পেছনেই ফেলবে ফুটবলের রথী-মহারথীকে। নতুন মৌসুমে ৫ ম্যাচেই করেছেন ১০ গোল; আছে দুটি হ্যাটট্রিকও। ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর থেকেই নিজেকে বানিয়েছেন গোলমেশিন। সেই হলান্ড এবার গড়েছেন এমন এক বিশ্বরেকর্ড, যেখানে নাম আছে ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটিতেও হলান্ডের গোলেই এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। ওই গোলেই সিটিতে ব্যাক্তিগত ১০০ গোলের মাইলফলক ছোয়ার পাশাপাশি ভাগ বসিয়েছেন রোনালদোর বিশ্বরেকর্ডে। নির্দিষ্ট একটি ক্লাবের হয়ে দ্রুততম ১০০ গোল করায় এত দিন সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো; সেই তালিকায় নাম তুললেন সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গড়েছিলেন এ রেকর্ড। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ১০৫ ম্যাচে পূরণ করেছিলেন গোলের সেঞ্চুরি। রোববার রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে আর্লিং হলান্ডও ১০৫ ম্যাচেই পূরণ করলেন গোলের সেঞ্চুরি। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটে করা গোলেই এমন রেকর্ডের মালিক বনে যান তিনি।
ম্যানসিটিতে আসার আগেই গোল করার দক্ষতার কারনে আলোচনায় আসেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সাবেক এ স্ট্রাইকার। এছাড়া ক্যারিয়ারের শুরুতে যুব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে ৯ গোল করে ফুটবলে বিশ্বে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন। জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ডে ৮৯ ম্যাচ খেলা হালান্ডের গোল সংখ্যা ৮৬।
তবে ক্লাব পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেকেও নতুন ভাবে ফুটবল বিশ্বে চিনিয়েছেন তিনি। পেপ গার্দিওলার অধীনে ম্যানসিটিতে ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করে ফুটবলের অনেক রেকর্ডই নতুন করে লিখেছেন এ স্ট্রাইকার। সময়ের সাথে তার গোলের হিসেব করলে দেখা যায়, প্রতি ৮৫ মিনিটেই একটি করে গোল করেছেন আর্লিং হলান্ড।
ম্যানচেষ্টার সিটির হয়ে হলান্ডের করা ১০০ গোলের ৭৩টিই এসেছে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ থেকে। চ্যাম্পিয়ন্স ক্লাব থেকে এসেছে ১৮টি গোল। এফএ কাপ থেকে এসেছে ৮টি আর অন্য গোলটি এসেছে কারাবাও কাপে। তবে সিটির হয়ে করা ১০০ গোলের ১৮ টি এসেছে পেনাল্টি থেকে। পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ম্যাচে গোল করা নয়, স্পট কিকেও বেশ সফল সিটির এ স্ট্রাইকার।