April 29, 2025
আন্তর্জাতিক

বিশ্বজুড়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের শতাধিক অফিস বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র

সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা শতাধিক দপ্তর বন্ধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি “আমেরিকা প্রথম”। সে কারণেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই দপ্তরগুলো বন্ধ করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ১৫ শতাংশ কর্মীর চাকরি যাচ্ছে।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, আমেরিকা প্রথম নীতি মাথায় রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৫ শতাংশ কর্মী কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১০০টি দপ্তর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স এবং এপি জানিয়েছে, তারা প্রশাসনের একটি গোপন নথি দেখেছে। ওই নথিটি তৈরি করা হয়েছে এ বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে অবহিত করার জন্য।

সেখানে বলা হচ্ছে, ৭৩৪টি অফিসের মধ্যে ১৩২টি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এরপর ১৩৭টি দপ্তরকে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলেও ওই নথিতে বলা হয়েছে।

রুবিও জানিয়েছেন, “এখন মন্ত্রণালয়টি সার্বিকভাবে ছন্নছাড়া হয়ে আছে। অতি কূটনৈতিক ফাঁসে জর্জরিত। ক্ষমতার এই প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে এভাবে কূটনৈতিক মিশন চালানো কঠিন, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক মিশন সমস্ত বিষয়েই এই পদক্ষেপ সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রুবিও।

কোন দপ্তরগুলো বন্ধ হবে?

এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। বিশ্বের নারীদের বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে দপ্তর ছিল, তা বন্ধ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ডাইভারসিটি এবং ইনক্লিউশন বিষয়ক দপ্তরগুলোকেও বন্ধ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই তাদের কাজে রাশ টানা হয়েছিল।

সম্প্রতি ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) বন্ধ করা হয়েছে। আমেরিকার এই ধরনের মিশনগুলোর ওপরই কোপ পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর

প্রাথমিকভাবে অনেকে মনে করেছিলেন, মানবাধিকার নিয়ে যে দপ্তরগুলো কাজ করে, তাদের বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে রুবিওর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ দেখে মনে করা হচ্ছে, আপাতত তা করা হবে না।

তবে রুবিও এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সকলেই একটি বিষয়ে সহমত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাঠামো এমনভাবে ফুলে উঠেছে যে সেখানে সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। কর্মকর্তাদের বক্তব্য, নতুন কাঠামোয় বিদেশের অফিসগুলো অনেক বেশি আমেরিকা প্রথম নীতির দিকে ফোকাস রাখবে।

শেয়ার করুন: