বিশ্বজয়ী ভারতীয় দাবাড়ুর বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ রাশিয়ার
সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছেন ভারতের ডি গুকেশ। চীনের ডিং লিরেনের বিপক্ষে ৭.৫-৬.৫ স্কোরে তিনি বিজয়ী হন। যদিও তার এমন কীর্তি নিয়ে উঠেছে বিতর্ক। রাশিয়ার দাবা সংস্থার প্রধান আন্দ্রে ফিলাতভের অভিযোগ, ডিং লিরেন ইচ্ছাকৃতভাবে ম্যাচ হেরেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি তদন্তের আহ্বান জানান।
গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ১৩ ম্যাচ শেষে সমান পয়েন্ট ছিল গুকেশ ও লিরেনের। ১৪তম ক্লাসিকাল ম্যাচটি জেতেন ভারতীয় দাবাড়ু। ১৩তম ম্যাচ শেষে দু’জনের পয়েন্ট সমান ছিল। শেষ ম্যাচ জিততেই ১৮ বছর ৮ মাস ১৪ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন গুকেশ।
রাশিয়ার দাবা সংস্থার প্রধানের অভিযোগ, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ম্যাচ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। চীনের দাবাড়ু যেভাবে হেরেছেন তা সন্দেহজনক। এটা নিয়ে ফিদের তদন্ত করা উচিৎ। লিরেন ম্যাচটা যে জায়গা থেকে হেরেছে, তা একজন প্রথম শ্রেণির দাবাড়ুর পক্ষেও হারা কঠিন। চীনের দাবাড়ুর এই হার ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাস বলেছে, ‘শেষ ম্যাচের ফলাফল পেশাদার ও দাবা অনুরাগীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছিল। নিষ্পত্তিমূলক বিভাগে চীনা দাবা খেলোয়াড়ের কাজ অত্যন্ত সন্দেহজনক। এফআইডিই কর্তৃক পৃথক তদন্তের প্রয়োজন।’
এবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ম্যাচেই আক্রমণাত্মক খেলছিলেন গুকেশ। অন্যদিকে লিরেন বরাবরই রক্ষণাত্মক। শেষ ম্যাচেও বেশ দেখেশুনেই খেলছিলেন চীনা দাবাড়ু। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে এসে পরিস্থিতি বদলে গেল। তড়িঘড়ি করে খেলতে দেখা গেল লিরেনকে। অথচ বোর্ডের অবস্থা দেখে তখনো মনে হয়েছিল ম্যাচ ড্র হবে। কিন্তু লিরেন এমন ভুল করলেন যে, শেষ পর্যন্ত তিনি হেরেই গেলেন।
ম্যাচ শেষে লিরেন বলেছেন, ‘চাপের মধ্যে একটা চালে ভুল করে ফেলি। তারপরই গুকেশের মুখ দেখে বুঝতে পারছিলাম, ও কতটা আনন্দ পেয়েছে। তখন আর আমার কিছু করার ছিল না।’ গুকেশ বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি যে লিরেন এত বড় ভুল করেছে। কয়েক সেকেন্ড পরে বুঝতে পারি। সেটা কাজে লাগাই।’