বটিয়াঘাটায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে পাঁকাভবন নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার লবণচরা থানা এলাকার মোহাম্মাদ নগরের বিসমিল্লাহ সড়কের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারেজ উদ্দিনের জমি দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এম আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দুই মেয়ে রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমা তুজ জোহরা হীভা নাবালিকা থাকা অবস্থায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা জীবিত থাকা কালে ২০১১ সালের ১৫ মার্চে ১৯৮৬ নং দানপত্র দলিলে দুইটি খতিয়ানে যথাক্রমে ২৭ শতক ও ১৩ শতক মোট ৪০ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পরে তারা অসহায় হয়ে পরে এবং কোথায় তাদের জমি সেটাও তারা জানতো না। পরবর্তীতে তারা এটর্নী এস এম আমিনুল ইসলামের শরণাপন্ন হলে, তিনি তাদের দলিলের জমিজমা সার্ভেয়ারের মাধ্যমে সনাক্ত করে বটিয়াঘাটার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর আদালতে মিস কেস নং ২৪৭/২০২২-২৩ এর মাধ্যমে কৃষ্ণনগর মৌজার আর, এস-১১৬ নং খতিয়ানের পৃথক ৩১৭৩ নং খতিয়ানে ১৪২৩ নং দাগে ২৭ শতক জমি উক্ত রায়জানা ফারজানা পাপিয়া এবং ফাতিমা তুজ জোহরা হীভার নামে রেকর্ড সংশোধন করে হাল ১৪৩০ বঙ্গাব্দ প্রর্যন্ত সরকারি কর খাজনা পরিশোধ করেন।
অপর দিকে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তার দুই মেয়ের জমি এলাকার এস এম আক্তার ফারুকের স্ত্রী রাণী আখতার, স্কেন্দার আলীর স্ত্রী আসমা আক্তার, মৃত মোতাহার হোসেনের পুত্র জাহিদ আনোয়ার, তাজুল ইসলামের পুত্র ক্বারী মোঃ ইয়াহ হিয়া, আবুল কাশেমের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, এছেন আলীর পুত্র আঃ রব শেখ, সাত্তার হাওলাদারের স্ত্রী হেমেলা বেগম, আকরামুজ্জামানের স্ত্রী রীনা পারভীন, আঃ জলিল, উত্তম কুমার গং দখল করে নেয়। তিনি আরও বলেন, বটিয়াঘাটার ভূমি অফিসে তল্লাশি করে রেজিষ্ট্রার উত্তোলন করে দেখতে পান যে, উপরোক্ত ব্যক্তিগণ ভিন্ন খতিয়ান ও ভিন্ন দাগের ও ভিন্ন মালিকানার অর্থাৎ আর, এস-১৮৭ নং খতিয়ানের ১৪২২ নং দাগের জমি খরিদ করে উক্ত খতিয়ানে ও দাগে রেকর্ড সংশোধন করেন। অথচ উক্ত ব্যক্তিগণ অজানা কারণে ১৪২২ নং দাগের বেদখলকৃত জমি কম মূল্যে খরিদ করে রায়হানা ফারজানা পাপিয়া ও ফাতিমা তুজ জোহরা হীভার নামে রেকর্ডকৃত ১৪২৩ নং দাগের জমিতে অবৈধ ভাবে দখল করে গায়ের জোরে পাঁকা স্থাপনা/ইমারত নির্মাণ করছেন। যা উল্লেখিত ব্যক্তিগণকে তিনি মৌখিক ভাবে বিষয়টি অবহিত করলে রাণী আখতার কিছু সন্ত্রাসী লোকজন লইয়া তড়িঘড়ি করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি গত ২৫ সেপ্টেম্বর লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে অবগত করেন। পরবর্তীতে থানার এস আই তানজীর হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে উক্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন এবং উভয় পক্ষকে জমির কাগজ পত্র নিয়ে থানায় যেতে বলেন। কিন্তু রাণী আখতার থানার নির্দেশ উপেক্ষা করে ঐ দিন রাতেই লোকজন নিয়া এক তলা ছাদ ঢালাই করেন। আমরা পুলিশকে জানালে পুলিশ পূণরায় গিয়ে তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। ২দিন পর থানায় উভয় পক্ষই হাজির হলে তারা জমির সঠিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
জাহিদ আনোয়ার ইতিমধ্যে কেডিএ থেকে ১৪২২ নং দাগের জমিতে নকশা অনুমোদন করে ১৪২৩ নং দাগের জমিতে ২তলা ভবন নির্মাণ করেছেন এবং রাণী আখতার ৪তলা ভবণ নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষগণের গত ২২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হয় এবং যার ফলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করা এবং মিথ্যা তথ্য পরিবশেন করা হয়, তিনি তার তীব্র নিন্দা জানান এবং মুক্তিযোদ্ধার দুই মেয়ের জমিতে শান্তিপূর্ণবাবে ভোগদখল করতে পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।