বছরের শেষ সিরিজে বিজয় দিবসের ভোরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
কেমন কাটলো ক্রিকেটের ২০২৪? এমন একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে থাকবে বিতর্ক, প্রশ্ন, হতাশার এক মিশ্র অনুভূতি। প্রাপ্তি একেবারেই শূন্য নয়, তবে মনে রাখার মতো স্মরণীয় কিছু খুব প্রবলভাবে নাড়া দেবে ক্রিকেট ভক্তদের– এমনটাও বলা চলে না। বরং আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারগুলো অনেক বেশি পোড়াবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। বিগত কয়েক বছরে যাদেরকে অনেকটা রয়েসয়ে হারানো সম্ভব ছিল, তাদের বিপক্ষে চব্বিশের বাংলাদেশ কিছুটা মলিন।
ডিসেম্বর মাসে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেবে বাংলাদেশের বড় পাওয়া বিজয়ের আনন্দ। ১৬ই ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে যা স্বীকৃত বিজয় দিবস হিসেবে। ১৬ই ডিসেম্বর সেই বিজয়ের দিনেই লাল-সবুজের ক্রিকেট প্রতিনিধিরা নামছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অবশ্য সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে বাংলাদেশ যখন খেলতে নামবে তখন সেখানকার স্থানীয় সময় থাকছে ১৫ই ডিসেম্বর। তবে টাইমজোনের মারপ্যাঁচে দেশের সময়ে তখন ১৬ই ডিসেম্বর ভোর ৬টা। দেশের মানুষ যেদিন বিজয়ের ৫৩তম বার্ষিকী পালন করবে, তখন মাঠের ১১জন ক্রিকেটার তাতে আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করতে পারছেন কি না তাই নিয়ে প্রশ্ন।
ব্যাট হাতে নিজেদের ফর্ম বাংলাদেশ কতটা ফিরে পায় সেটা দেখার বিষয়। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেই হতাশার স্ক্রিপ্ট লিখেছিল দলটা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২.১ ওভারে ১১৫ রান নিতে না পারার ব্যর্থতাও হয়ত খুব দ্রুতই মুছে যায়নি ক্রিকেট ভক্তদের মাঝ থেকে।
টি-টোয়েন্টিতে স্বভাবতই শক্তিশালী দল ক্যারিবীয়দের। যদিও চোটের কারণে নিয়মিত ক্রিকেটার সবাইকে পাচ্ছে না স্বাগতিকরা, তবে স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে দারুণ আশাবাদী দলের অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। তার ভাষ্য, ‘দল যখনই খেলে, আমরা দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাতে চাই। আমাদের ভালো ক্রিকেট চালিয়ে যেতে হবে, ধারাবাহিকভাবে লম্বা সময় ধরে ভালো খেলতে হবে। আমাদের নির্ভয়ে ক্রিকেট খেলতে হবে– এটাই মূল লক্ষ্য। গত ১৫ মাস ধরে এই চেষ্টাই চলছে।’
উইন্ডিজ ওপেনার এভিন লুইস চোটে পড়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। টি-টোয়েন্টিতে বাইরে চলে গেলেন গোটা সিরিজের জন্যই। তার পরিবর্তে দলে ডাকা পেয়েছেন আরেক বিধ্বংসী ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার।
সিরিজে শাই হোপ, শারেফান রাদারফোর্ডকে পাচ্ছে না ক্যারিবীয়রা। মূলত বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে যাবেন তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার কারণে দেশের হয়ে এই সিরিজে থাকছেন না তারা। একই কারণে সিরিজে শেষ ম্যাচ খেলবেন না আকিল হোসেন।
প্রথম দুই ম্যাচের পর আকিলের বদলি হিসেবে স্কোয়াডে যোগ দেবেন জেডেন সিলস। আগামী ১৬, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্টে।