বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-স্বাধীনতা একে ওপরের পরিপূরক: ইকবাল হোসেন অপু
শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন অপু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া স্বাধীনতা কোনটাই চিন্তা করা যায় না। তাই বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশ-স্বাধীনতা একে ওপরের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় সার্থকতা বাঙালি জাতিকে স্বাধীন রাষ্ট্রীয় সত্তায় উদ্ভাবন করা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি বিশ্বের বুকে একটি জাতিসত্তাকে অমর করেছেন। যিনি বিশ্বের বুকে এঁকেছেন একটি মানচিত্র, দিয়েছেন জাতীয় পতাকা, এক বছরের ব্যবধানে দিয়েছেন একটি সার্বভৌম সংবিধান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ছোট আপা শেখ রেহানা জার্মানির উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়, সেইদিন তারা জার্মানিতে ছিলেন বলে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু হারিয়ে ছিলেন ছোট ভাই শেখ রাসেল, শেখ কামাল,শেখ জামাল,বাবা-মাকে।কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বললেন,দরকার হলে বাবার ন্যায় বীরের মতো মরবো তবু এদেশের মানুষের পাশে থাকবো। কি দেয়নি শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতাসহ নানান প্রকার সামাজিক সুরক্ষা ভাতা।এদেশের মানুষ ভুলে যায় নাই ২১ আগস্ট ও ১৫ আগস্টের কথা, শেখ হাসিনা এতো উন্নয়ন করেছে যে জনগণ আবার ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী বানাবে।আমার বাবা-মা নাই আপনাদের সাথে যখন পথে ঘাটে দেখা আর আপনারা আমার সাথে কথা বলেন তখন আপনাদেরকেই আমার বাবা-মা মনে হয়, আমি সারাজীবন আপনাদের সেবা করে যেতে চাই।১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে এবং এই দেশকে সোনার বাংলা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সহ-সভাপতি ইদ্রিস ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আকন্দ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক পিন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফাসহ প্রমুখ।
শরিয়তপুর সংবাদদাতা