ফুকুশিমা প্লান্টের পানি সাগরে ফেলে দেওয়ার অনুমতি পেলো জাপান
জাতিসংঘের নজরদারি সংস্থার কাছ থেকে ‘ফুকুশিমা প্লান্ট’ নিয়ে চূড়ান্ত রায় পেয়েছে জাপান। ফুকুশিমা প্লান্টের তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আইএইএ-এর তরফ থেকে জাপানকে এই ছাড়পত্র দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালের দিকে জাপানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমা হায়াশির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আইএইএ প্রধান রাফায়েল ম্যারিয়ানো গ্রসি জানান, আইএইএ বিষয়টি নিয়ে বিগত দুই বছর কাজ করেছে। আইএইএ-এর আজকের প্রতিবেদন পারমাণবিক শক্তির ইতিহাসে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।’
ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লির তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে জাপানের আশপাশের দেশগুলো বেশ সোচ্চার ছিল। বিশেষ করে বেইজিং বিষয়টি নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছিল। এমনকি জাপানের মৎস্যজীবী সমিতিও বিষয়টির ওপর তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল শক্তভাবে।
২০১১ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প এবং সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত ‘ফুকুশিমা প্লান্টের’ জ্বালানি রডগুলো ঠাণ্ডা করতে ব্যবহৃত ১.৩ মিলিয়ন টন পানি সাগরে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে জাপান। ট্রিটিয়াম বাদে বেশির ভাগ তেজস্ক্রিয় উপাদান অপসারণের জন্য পানিকে ফিল্টার করা হয়েছে হাইড্রোজেনের একটি আইসোটোপ দিয়ে, যা পানি থেকে আলাদা করা কঠিন। প্রশান্ত মহাসাগরে তেজস্ক্রিয় পানি ছাড়ার আগে পানি শোধিত করা হবে। যেখানে আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত ট্রিটিয়াম মিশ্রিত থাকবে।