ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়ল সুপারটাইফুন রাগাসা
দক্ষিণ চীন সাগরে উদ্ভূত প্রবল মাত্রার ঘূর্ণীঝড় (সুপার টাইফুন) রাগাসা ফিলিপাইনের উপকূলে আছড়ে পড়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩ টার দিকে সাগর থেকে ফিলিপাইওনের উত্তরাঞ্চরীয় প্রদেশ কাগায়ানের বাতানিজ দ্বীপের উপকূলে উঠে আসে রাগাসা।
ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার। ঝড় আসার আগেই অবশ্য দ্বীপটির কয়েক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
বাতানিজ দ্বীপটি ফিলিপাইনের পানুতিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত। স্থানীয়ভাবে বাবুইয়ান দ্বীপ নামেও পরিচিত। দ্বীপটি ফিলিপাইনের প্রত্যন্ত একটি ভূখণ্ড এবং তাইওয়ানের কাছাকাছি। বাতানিজে বসবাসকারী ২০ হাজার বাসিন্দার অধিকাংশই মৎসজীবী ও দরিদ্র। ঝড়ের কারণে তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন উপকূলীয় এলাকা থেকেও ৩০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর রাগাসাকে ‘উচ্চমাত্রার প্রাণহানির ঝুঁকি সম্বলিত’ ঝড় বলে উল্লেখ করেছে। ঝড়ের কারণে রাজধানী ম্যানিলাসহ দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
একই সতর্কতা গ্রহণ করেছে তাইওয়ান এবং চীনও। তাইওয়ানের দক্ষিণ চীন সাগর উপকূল অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি দপ্তর বন্ধের পাশাপাশি বেশ কিছু অঞ্চলে ফেরি পরিষেবা বন্ধ আছে।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে চীনের দক্ষিণ চীন সাগর উপকূলবর্তী প্রদেশ গুয়াংডংয়েও। প্রদেশটির উপকূলীয় শহর শেনজেনে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে চীনের আবহাওয়া দপ্তর রাগাসাকে ক্যাটাগরি ৫ হারিকেনের সঙ্গে তুলনা করে জনগণকে ‘প্রস্তুত’ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যেসব ঘূর্ণিঝড়ে বিশাল এলাকাজুড়ে বিপুলমাত্রার ধ্বংসযজ্ঞ হয়, সেগুলোকে মার্কিন আবহাওয়া দপ্তরের পরিভাষায় ক্যাটাগরি ৫ হারিকেন বলা হয়।