ফিরলেন মুশফিক, শান্তর নতুন সঙ্গী মিরাজ
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝে একাই লড়ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দলের সংগ্রহ ৩৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩১ রান।
ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়ে শান্ত ১০২ বলে ৬৯ রানে ব্যাট করছেন। হৃদয় এলবিডিব্লউ হয়ে ফিরেছেন ৪১ বলে ২০ রান করে। চতুর্থ উইকেট এই জুটি থেকে এসেছে ৮০ বলে ৫৯ রান। প্রথমে আউট দেননি আম্পয়ার। বোলার দাসুন শনাকা রিভিউ নিয়ে সফল হন। কিছুক্ষন পর থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ২২ বলে তার সংগ্রহ ১৩ রান।
শান্তর নতুন সঙ্গী মেহেদি হাসান মিরাজ।
দেশের সেরা দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাসের অনুপস্থিতিতে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। কিন্তু তরুণ এই ব্যাটার সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। এশিয়া কাপের এবারের আসরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনো রান না করেই আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার।
মাহিশ থিকশানার করা দলীয় দ্বিতীয় ওভারে মুখোমুখি হওয়া নিজের দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে যান তানজিদ। পুরোপুরি বলের লাইন মিস করেন তিনি।
আরেক স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে তেড়ে এসে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ। ২৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান।
মাথিশা পাথিরানার দারুণ ডেলিভারিতে উইকেটের পিছনে মেন্ডিসের দারুণ ক্যাচের শিকার হন ১১ বলে ৫ রান করা সাকিব।
পাল্লেকেলের এই উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ হিসেবেই পরিচিত। টস করতে এসে শুষ্ক উইকেট দেখে ভালো রানের আশা করলেন সাকিবও। বৃষ্টির বিষয়টি ভেবে ফিল্ডিং করতে পারার মাঝে সুবিধা খুঁজে নিচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শনাকা।
‘বি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ এটি। গ্রুপের অন্য দল আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিসানকা, দিমুথ কারুনারত্নে, কুসাল মেন্ডিস, ধানাঞ্জয়া ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা, সাদিরা সামারাউইক্রামা, দুনিথ ওয়েলালাগে, মাহিশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, কাসুন রাজিথা।