ফাহিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি
বিপিএলে মানেই যেন ডালাভর্তি অভিযোগের পসরা। দল গঠন থেকে শুরু করে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব ছিল নিত্য সঙ্গী। অন্তত ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটির দশম আসর পর্যন্ত চিত্র ছিল ঠিক এমনই। এগারতম আসর শুরুর আগে নতুন আঙ্গিকে বিপিএল সাজানোর আভাস দিয়ে থাকেন বিসিবি সভাপতি। মাঠের খেলায় রানবন্যা দেখা গেলেও মাঠের বাইরে যতো বিতর্ক।
সম্প্রতি বিসিবি সভাপতির সঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দুর্ব্যবহার জন্ম দিয়েছে আলোচনার। এরপর আজ দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠে স্বয়ং বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের দিকে। দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনার সঙ্গে আলাপকালে পরিচালক ফাহিম বোর্ডপ্রধান ফারুকের দুর্ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিষয়টি। ইঙ্গিত দিয়েছেন বোর্ড থেকে সরে দাঁড়ানোরও। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করতে চায়নি। বলেছে কাজ করা কঠিন। পদত্যাগ করতে চায় এমন কিছু শুনিনি। যাই হোক, ফাহিম ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। যমুনা টিভির সাথে আমি কথা বলেছি। ফাহিম ভাই আমার সাথে ছিল।’
ফাহিমের প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক জানান, কাজের চাপেএই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, ‘নতুন বোর্ড বলতে তো ফাহিম ভাই আর আমাকেই বোঝায়। বাকি সবাই তো পুরনো। যখন কাজের মাত্রা বেশি লোক সংখ্যা কম তখন অনেক দিকে নজর দিতে হয়। তখন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। ঐ জিনিস থেকেই উনি হয়ত চিন্তা করেছেন কাজ ঠিকমতো করতে পারছেন না।’
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘টিকিটের চাপ ছিল, প্রেসিডেন্ট বক্সেও একটা ঘটনা ঘটেছে। সব মিলে দিনটা আমার সেরা দিন ছিল না। তখন একটা কথা এসেছে। কার সাথে কী বলেছি হয়ত আমার মনেও নেই। মতের অমিল খুব স্বাভাবিক। এখানে দোষের কিছু দেখি না। এগুলো আগে নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করা উচিৎ।’
ফাহিমের সঙ্গে সমস্যার সমাধাণ হয়েছে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ফাহিম ভাই আমার বয়োজ্যেষ্ঠ, সিনিয়র মানুষ। আমারও সিনিয়র প্লেয়ার। আমার অনেক সিনিয়র। সেদিক বিবেচনা করে উনি হয়ত মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন। ফাহিম ভাই আর কোনো কথা বলতে চাননি। আমার পাশেই ছিলেন। মোট কথা আমরা সমস্যার সমাধান করেছি।’