প্রোটিয়াদের জোড়া সেঞ্চুরির দিনে টাইগারদের প্রাপ্তি দুই উইকেট
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে হারের পর আজ দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারীদের অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। এরপর পুরো দিনই দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে প্রোটিয়ারা। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন টনি ডি জর্জি এবং ট্রিস্টান স্টাবস। দিনের শুরুতে মার্করামকে ফেরানোর পর শেষ বেলায় এসে শতক হাঁকানো স্টাবসকে সাজঘরের পথ দেখাতে পেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ৩০৭ রান।
টসে জিতে ব্যাত করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয়েছিল বেশ ভালো। অধিনায়ক মার্করাম আরেক ওপেনার টনি দে জর্জিকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছিলেন ৬৯ রানের জুটি। দুই ওপেনার মিলে ভালোই সামলিয়েছেন টাইগার বোলারদের। নতুন বলের সুবিধা নিতে পারেননি দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা।
ওদিকে টাইগার বোলারদের সামলে স্কোরবোর্ডে রান বাড়িয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনাররা। এ দুজনের জুটিতে ১৭ ওভারেই স্কোরবোর্ডে ওঠে ৬৯ রান। তবে এ জুটিতে আর বড় হতে দেননি তাইজুল ইসলাম। অষ্টাদশ ওভারের প্রথম বলেই টাইগার স্পিনারের করা বলে ক্যাচ তুলে দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম। মিড অনে থাকা মমিনুল হক সহজেই তালুবন্দী করেন ক্যাচটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৫ বলে ৩৩ রান করেছেন মার্করাম।
তবে প্রথম সেশনের ওই এক উইকেটের পর দিনের শেষ বেলা পর্যন্ত হতাশই হতে হয়েছে টাইগার বোলারদের। মার্করাম ফেরার পর ক্রিজে জর্জির সঙ্গী হন স্টাবস। এ দুজন মিলে এরপর আধিপত্য বিস্তার করেছেন টাইগার বোলারদের উপর। দ্বিতীয় সেশনে নিজের সেঞ্চুরির দেখা পান জর্জি। এ সেশনে বাংলাদেশ কোনো উইকেট পায়নি।
জর্জিকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন স্টাবস। দুর্দান্ত জুটিতে ব্যক্তিগত সংগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি দলের রানার চাকাও ঘুরিয়েছেন। জর্জি নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি করার পর তৃতীয় সেশনে এসে সাদা পোশাকে নিজের প্রথম শতকের দেখা পেয়েছেন স্টাবসও।
এ দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ২০১ রানের জুটি। তাদের এই জুটিই টাইগার বোলারদের হতাশা বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে প্রথম দিনেই প্রোটিয়াদের গড়ে দিয়েছে বড় সংগ্রহের ভিত্তি। এদিকে শতক হাঁকানোর পর আর নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। মার্করামকে ফেরানো তাইজুলের বলের বোল্ড হয়ে তিনি সাজঘরে ফিরেন, এর আগে করেন ১০৬ রান।
এরপর ক্রিজে জর্জির সঙ্গী হন ডেভিড বেডিংহাম। শেষ বেলায় তাঁর সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে বাকি সময়টুকু কাটিয়ে দেন জর্জি। দিন শেষে তিনি অপরাজিত আছেন ২১১ বলে ১৪১ রান করে, ওদিকে বেডিংহাম করেছেন ২৫ বলে ১৮ রান। দিনশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান।