‘প্রতি ঘণ্টায় বিদেশ যাচ্ছেন ১৫২ বাংলাদেশি’
প্রতি ঘণ্টায় বাংলাদেশ থেকে ১৫২ জন কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্র্যাকের মাইগ্রেশান বিভাগ ও ইয়োথ প্লাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরীফুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশ যাচ্ছেন তারা দক্ষ না। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ দক্ষ ও প্রফেশনাল। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১২ লাখ লোক বিদেশ গেছেন। গত বছর সাড়ে ১১ লাখ লোক বিদেশ গেছেন।’
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে মাইগ্রেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা জানান শরীফুল হাসান।
বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের সহযোগী এই পরিচালক বলেন, বহুবছর থেকে তাদের দক্ষ করার ব্যাপারে নানা কথা শোনা গেলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। চলতি বছর বিভিন্ন ঘটনায় ৪ হাজার প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে সবমিলিয়ে এই সংখ্যাটা ৪৬ হাজার।
শরীফুল হাসান বলেন, এখনো বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি টাকায় বিদেশ যাচ্ছেন লোকজন। অথচ সারাবিশ্বের অন্য দেশের চেয়ে আয় কম। বিদেশ যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম থার্ড পার্টি। আর বিদেশে কর্মী পাঠানোর দিক থেকে সারাবিশ্বে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন বিভাগের সহযোগী পরিচালক আরও বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ থেকে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তবে বাংলাদেশ থেকে কেন মানুষজন সাগরপথে ঝুঁকি নিয়ে বিদেশ যাচ্ছে এসব এখন আলোচনার বিষয়। এছাড়াও সরকার নানা ভালো উদ্যোগও নিয়েছে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাকের মাইগ্রেশান বিভাগ এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার জনকে বিভিন্নভাবে সাপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া ১৬ হাজার জনকে দক্ষ করতে প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানা কাজ করেছে।
উপস্থিত মিডিয়াকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যারা প্রবাসী নিয়ে রিপোর্ট করছেন তারা একটা বিষয় মাথায় রাখবেন ভুক্তভোগীর বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। এজেন্সিগুলোর স্বার্থ হাসিল হয় এমন যেনো বায়াস্ট নিউজ না হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে যেসব নারীরা বিদেশ যাচ্ছেন তাদরকে দক্ষ করে পাঠালে তারা নির্যাতিত হবেন না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। আরও উপস্থিত আছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মন্ত্রণালয়ের ডিপুটি সেক্রেটারি মির্জা শাকিলা দিল হাসিন, যুগ্ম সচিব আয়েশা হক, ব্র্যাকের প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ, অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর ও ব্র্যাকের স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষা বিভাগের পরিচালক সাফি রহমান খান।