পায়ে হেঁটে দুই ঘণ্টায় দুই লাখ ফিলিস্তিনির উত্তর গাজায় প্রবেশ
জিম্মি আরবেল ইয়েহুদের মুক্তির বিষয়ে হামাসের সঙ্গে সমঝতার পর ফিলিস্তিনিদের জন্য উত্তর গাজায় ফেরার পথ খুলে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সোমবার সকাল ৭টা থেকে পায়ে হেঁটে আল-রশিদ স্ট্রিট এবং সকাল ৯টা থেকে গাড়িতে করে সালাহ আল-দিন স্ট্রিট অতিক্রম করার অনুমতি দেয়।
এদিকে উত্তর গাজায় প্রবেশ করতে পায়ে হেঁটে দুই ঘণ্টায় প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি এসেছেন বলে এএফপিকে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গাজা নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছে, সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর দুই ঘণ্টায় ২ লাখেরও বেশি মানুষ পায়ে হেঁটে উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে।
স্থানীয় সময় সকাল নয়টায় চেকপয়েন্টগুলো খুলে দেওয়ার পর পায়ে হেঁটে প্রবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
এএফপির সংবাদদাতা রুশদি আবু আলাউফের মতে, সীমান্ত খুলে দিলেও সেখানে গাড়ি প্রবেশে এখনো দেরি হচ্ছে।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, গাজার সরকার বিশাল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষের গাজার উত্তরে ফেরা সহজ করতে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি লোক নিয়োগ দিয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গাজা এবং এর উত্তরে ফিরে আসা বাস্তুচ্যুতদের জন্য প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার তাঁবু নির্মাণ প্রয়োজন। কেননা সেখানকার ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িগুলো এখন আর থাকার থাকার উপযোগী নেই।
গাজায় ১৫ মাসের গণহত্যার পর প্রথমবারের মতো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ব্যাপকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত উত্তরে ফিরে আসছেন। জনগণের এই ফিরে আসতে পারাকে বিজয় বলে উল্লেখ করেছে হামাস। স্বাধীনতাকামী দলটি বলেছে, ‘প্রত্যাবর্তন আমাদের জনগণের জন্য একটি বিজয় এবং ইসরায়েলের দখল ও স্থানান্তর পরিকল্পনার ব্যর্থতা ও পরাজয়ের ঘোষণা’।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর দিনগুলিতে পুরো উত্তর গাজা খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সেনারা প্রবেশের পরপরই উপত্যকার এই অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।