পাকিস্তান-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলছে ভারত
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে পাকিস্তান ও সৌদি আরব। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটি উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে।
আর এই চুক্তির বিষয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত। দেশটি বলছে, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের এই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে তা খতিয়ে দেখবে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো এক দেশের ওপর আগ্রাসন হলে সেটিকে উভয় দেশের ওপর আগ্রাসন হিসেবে গণ্য করা হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সৌদি সফরে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকের পর রিয়াদে এই চুক্তি হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের খবর আমরা দেখেছি। এ ধরনের একটি উদ্যোগের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল, যা দুই দেশের দীর্ঘদিনের একটি অনানুষ্ঠানিক সমঝোতাকে এখন আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আমরা জাতীয় নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব খতিয়ে দেখব। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সর্বস্তরে সমন্বিত জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ভারত সরকারের অঙ্গীকার।”
এর আগে সৌদি প্রাসাদ আল-ইয়ামামায় বৈঠকের পর পাকিস্তান ও সৌদি আরবের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় আট দশক ধরে চলে আসা ঐতিহাসিক অংশীদারিত্ব ও ইসলামী ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতেই এই প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করা ও যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
বৈঠকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরও উপস্থিত ছিলেন। মূলত চুক্তিটি এমন সময় স্বাক্ষরিত হলো যখন চলতি বছরের এপ্রিলে কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলা ও ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার জেরে দিল্লি ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে রিয়াদের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ভারত এখন সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। মোদি তিনবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং ২০১৬ সালে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘কিং আবদুল আজিজ স্যাশ’ পেয়েছিলেন।