November 21, 2025
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে ২ দিনের সেনা-পুলিশ অভিযানে টিটিপির ৩০ সন্ত্রাসী নিহত

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় সেনা-পুলিশ যৌথ নিরাপত্তা বাহিনীর ২ দিন ব্যাপী একাধিক পৃথক অভিযানে নিহত হয়েছে দেশটির নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)- এর ৩০ জন সদস্য। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর আন্তঃবিভাগ সংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ এবং ১৯ নভেম্বর, অর্থাৎ সোম এবং মঙ্গলবার খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াতি, মোহামান্দ, টাঙ্ক এবং কুররম— চার জেলায় অভিযান চালিয়েছে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনী। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে কুররম জেলা— ১২ জন। টিটিপিকে ফিৎনা আল খারিজি নাম দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আইএসপিআর বলেছে, নিহত এই সন্ত্রাসীরা ফিৎনা আল খারিজি’র দু’টি গ্রুপের। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তারপর থেকেই আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী দুই পাকিস্তানি প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও হামলার নাটকীয় উল্লম্ফন ঘটেছে। খাইবার পাখতুনখোয়া মূলত পাকিস্তানপন্থি তালেবানগোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি অঞ্চল। অন্যদিকে বেলুচিস্তানে ব্যাপকভাবে তৎপর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এ দু’টি গোষ্ঠীই পাকিস্তানে নিষিদ্ধ। ইসলামাবাদভিত্তিক থিংকট্যাংক সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বিগত যে কোনো সময়ের তুলনায় ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংসতার হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। সিআরএসএসের তথ্য অনুযায়ী, জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩২৯টি। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৯০১ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৯৯ জন। আর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় পুলিশ বিভাগের একটি প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই ঘটেছে ৬ শতাধিক সন্ত্রাসী হামলা। এসব হামলায় নিহত হয়েছেন ৭৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মী এবং ১৩৮ জন বেসামরিক।
শেয়ার করুন: