পাকিস্তানে একদিনে ৩০ সন্ত্রাসী নিহত
পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার তিন জেলা খাইবার, লাক্কি মারওয়াত, কারাকে সেনা-পুলিশ যৌথ বাহিনীর অভিযানে শনিবার ৩০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)।
তিন দিন আগে খাইবার পাখতুনখোয়ার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় ৪ পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। শনিবারের অভিযানে তাদেরও উদ্ধার করা হয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে হতাহতের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে প্রদেশের লাক্কি মারওয়াতে। নিহত ৩০ জঙ্গির মধ্যে ১৮ জনই এ জেলার। এছাড়া যে ৮ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬ জন লাক্কি মারাওয়াতের।
এছাড়া কারাক জেলায় ৮ জন এবং খাইবারে ৪ জন জঙ্গি নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন। আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত এবং আহত সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং তাদের মিত্র লস্কর-ই ইসলাম, হাফিজ গুল বাহাদুর গ্রুপ এবং ইমরাত-ই ইসলামের সদস্য। নিহত সন্ত্রাসীদের মধ্যে আজিজুর রহমান ও কারি ইসমাইল নামের দুই ‘রিং লিডার’ আছেন। তারা মধ্যম স্তরের কমান্ডার ছিলেন। এই সন্ত্রাসীদের নিহত ও আহত করার পাশাপাশি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা ৩ জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আইএসপিআরের বিবৃতিতে।
অভিযানের সাফল্যের জন্য সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলার হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালে বছর জুড়ে পাকিস্তানে ৪৪৪টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শতকরা হিসেবে গত এক দশকের মধ্যে গত বছর দেশটিতে সন্ত্রাসী হামলার হার বেড়েছে ৪০ শতাংশ।
এসব হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৮৫ জন সেনা এবং ৯২৭ জন বেসমরিক মানুষ।
বিপরীতে গত বছর সেনা-পুলিশ যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছে ৯৩৪ জন সন্ত্রাসী।