September 20, 2024
আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গের ‘বঙ্গবন্ধু’ সীতারাম ইয়েচুরি মারা গেছেন

পশ্চিমবঙ্গের ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে পরিচিত ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ সীতারাম ইয়েচুরি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টম্বর) তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সীতারাম ইয়েচুরি সর্ববৃহৎ বামপন্থি রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার (সিপিএম) মহাসচিব ছিলেন তিনি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ আগস্ট থেকে হাসাপাতালে ছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতের এ প্রবীন রাজনীতিবীদকে অনেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করতেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রিত্বের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন। এমনকি পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নেও অভয় দিয়েছিলেন।

চেন্নাইয়ের (তৎকালীন মাদ্রাজ) তেলুগুভাষী পরিবারে ১৯৫২ সালের ১২ আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সর্বেশ্বরা ইয়েচুরি অন্ধ্রের রাজ্য পরিবহণ সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। মা-ও ছিলেন অন্ধ্রের পদস্থ সরকারি কর্মচারী। সীতারামের স্কুলের পড়াশোনা শুরু হায়দরাবাদের অল সেন্ট হাই স্কুলে। ১৯৬৯ সালে তেলঙ্গানা আন্দোলনে যখন উত্তাল অন্ধ্র, সেই সময়ে সীতারামকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। ভর্তি হন দিল্লির প্রেসিডেন্ট এস্টেট স্কুলে। সেখান থেকেই সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি।

স্কুলের পড়াশোনা শেষের পর সীতারাম অর্থনীতি নিয়ে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে ভর্তি হন। তার পর স্নাতকোত্তরের জন্য ভর্তি হন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ। জেএনইউয়ে পড়ার সময়েই সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে যোগ দেন তিনি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময়ে সীতারাম জেএনইউয়ের ছাত্র ছিলেন। তখন জেলেও গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল জেএনইউ। জরুরি অবস্থার পরেও জেএনইউ ছাত্র আন্দোলনে সরগরম থেকেছে। সীতারামের নেতৃত্বে ছাত্রেরা দাবি তুলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য ইন্দিরা গান্ধীকে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে হবে। সেই দাবি মেনে ইন্দিরা তার বাসভবনে ডেকেছিলেন ছাত্রনেতাদের।

মাতৃভাষা তেলুগু হলেও সীতারাম মোট ৮টি ভাষা জানতেন। সেই তালিকায় হিন্দি, ইংরেজির সঙ্গে রয়েছে তামিল, মালয়ালমও। বাংলা ভাষাও বলতে পারতেন তিনি।

শেয়ার করুন: