নেপালে গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায়
নেপালে গত সপ্তাহের গণআন্দোলনে নিহতদের কয়েকজনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পতাকা মোড়ানো কফিনে রাখা তাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রীয় বিদায়ের মাধ্যমে মূলত তাদের সরকারিভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে ব্যাপক আন্দোলন হয়। এর জেরে গত ৯ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর গত শুক্রবার রাতে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন সুশীলা কার্কি।
নিহতদের শেষযাত্রা শুরু হয় মহারাজগঞ্জের ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতাল থেকে। গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মরদেহ সেখানে পোস্টমর্টামের জন্য রাখা হয়েছিল।
মরদেহগুলো হাসপাতাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক দিয়ে পশুপতি আর্যঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যম আরিয়ানা নিউজ জানিয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের মধ্যে ১০ জনকে গতকাল রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ১০ জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ শ্মশানে দাহ করা হয়। বাকি ছয়টি মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাদের নিজ জন্মভূমিতে নেওয়া হয়।
গণঅভ্যুত্থানে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরমধ্যে পাঁচ লাখ রুপি শেষ বিদায়ে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষ। যারমধ্যে ২৮৩ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
গণআন্দোলনে রাজপথে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রায় সবাই তরুণ। যেহেতু আন্দোলনে শুধুমাত্র তরুণরা যোগ দিয়েছিল তাই তারাই সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে।
নেপালে এরআগেও এ ধরনের অভ্যুত্থান হয়েছে। তবে এবারের অভ্যুত্থানে ছিল না কোনো নির্দিষ্ট নেতা। তবুও নিজেরা নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে কেপি শর্মা সরকারের পতন ঘটিয়েছেন তারা।