নেপালকে উড়িয়ে আবারও চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
টানা দ্বিতীয়বার মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। গতবারের মতো এবারও টিম টাইগ্রেসের প্রতিপক্ষ নেপাল। শিরোপা নির্ধারনী এই ম্যাচে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে আজ স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামে পিটার বাটলারের দল। যেখানে হাজারো প্রতিকূল সমর্থকের বিপক্ষে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ প্রথমার্ধে গোল শূন্য নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও বিরতির পর হয়েছে তিন গোল। যেখানে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সাফের শিরোপা ঘরে তুলে টাইগ্রেসরা।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সাবিনা খাতুনের লাল-সবুজের দলের গোল দুটি করেন মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা। মেয়েদের সাফে গত আসরে ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল সানজিদা-সাবিনাদের বাংলাদেশ।
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচের ২ মিনিটেই আক্রমণ শানে বাংলাদেশ। নেপাল গোলরক্ষকের গ্লাভসে যেয়ে গতি হারায় চলতি আসরে ৫ গোল করা তহুরা খাতুনের প্রচেষ্টা। এরপর দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পসরা চলে বেশকিছুক্ষণ। তবে কেউ জালের দেখা পাননি এই সময়ে।
তবে হাজারো প্রতিকূল সমর্থকের বিপক্ষে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ১০ মিনিটে নেপালের একটি আক্রমণ বাংলাদেশের ক্রসবারে লেগে ফেরে। সেই যাত্রায় বেচে যায় টাইগ্রেসরা। এদিকে ২৪ মিনিটে শামসুন্নাহার সিনিয়রের দূরপাল্লার শট স্বাগতিক গোলরক্ষকের হাতে জমে। তাতে গোলের দেখা পেতে বঞ্ছিত হয়ে থাকে টাইগ্রেসরা।
ম্যাচের বাকি অর্ধে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলে একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউ। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় উভয়দল।
বিরতি থেকে এসে ম্যাচের ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। মনিকা চাকমা গোল আনেন। লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি টাইগ্রেসরা। চার মিনিটের মধ্যেই সমতা টানে স্বাগতিক দল। নেপালকে উন্মাদনায় মাতিয়ে গোল করেন আমিশা কারকি। এরপর কিছু সময় চলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ধারা।
৬৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন মারিয়া মান্ডা। শূন্যে ঝাঁপিয়ে সেটি প্রতিহত করেন নেপাল গোলরক্ষক। ৭৬ মিনিটে নেপালের আরেকটি ভালো আক্রমণ বাংলাদেশের সেন্টারব্যাকের প্রতিরোধের মুখে পড়ে শেষে গোলরক্ষক রূপনার হাতে জমে। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমার দুর্দান্ত ক্রসে ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি শামসুন্নাহার, তাতে আক্রমণের ফলও তোলা হয় না বাংলাদেশের।
তবে ৮১ মিনিটে আসে সেই ফলও। বাঁপায়ের দর্শনীয় কোণাকুণি শটে ঋতুপর্ণা চাকমা লিডে ফেরান লাল-সবুজদের। ম্যাচের বাকি সময় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলে দুই দলের লড়াই। হাজারো প্রতিকূল সমর্থকের বিপক্ষে শ্রেষ্ঠত্বের চ্যালেঞ্জ এগিয়ে ছিল টাইগ্রেসরা। শেষ পর্যন্ত ঋতুপর্ণার চাকমার ওই গোলেই আসে শিরোপার শেষ হাসি।
তাতে নির্ধারিত সময়ের খেলায় ২-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতোসাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলে টাইগ্রেসরা।