নেতানিয়াহুকে বললেন ট্রাম্প ‘তুরস্কের সঙ্গে যৌক্তিক আচরণ করবেন’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর একমাত্র এশীয় সদস্য তুরস্কের সঙ্গে ‘যৌক্তিক আচরণ’ করার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে যে তার খুব ভালো সম্পর্ক, তা ও নেতানিয়াহুকে বলেছেন তিনি।
সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি তাকে বলেছি যে বিবি (নেতানিয়াহুর ডাকনাম), তুরস্কের সঙ্গে যদি আপনার কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে আমি সত্যিই মনে করি যে আপনি তা সমাধান করতে পারবেন এবং তুরস্কের সঙ্গে যৌক্তিক আচরণ করবেন। আমাদের সবারই যৌক্তিক আচরণ করা উচিত।”
“আমি তাকে আরও বলেছি যে তুরস্ক এবং দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার খুব, খুব ভালো সম্পর্ক এবং যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব। তাই আমি আশা করছি যে সামনে আর কোনো সমস্যা থাকবে না এবং আমি মনে করি যে সামনে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।”
এ সময় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, “তিনি একজন দৃঢ়চেতা মানুষ এবং খুবই স্মার্ট। তিনি যে অবস্থান থেকে আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছেন, অন্য কারোর পক্ষে তা সম্ভব হতো না।”
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মুসলিম দেশ তুরস্ক। তবে গাজায় সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তিক্ততা শুরু হয়েছে এরদোয়ানের। এরদোয়ান শুরু থেকেই এ অভিযানের বিরুদ্ধে এবং কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পন্থা অনুসরণের মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে সোচ্চার ভূমিকায় আছেন।
দুই দেশের সম্পর্কে আরও তিক্ততা এনেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন। সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামসের (এইচটিএস) এক ঝটিকা অভিযানে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পতন ঘটে বাশারের নেতৃত্বাধীন সরকারের। গত ৮ ডিসেম্বর ব্যক্তিগত বিমানে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়া পালিয়ে যান বাশার, যিনি এরদোয়ানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন।
বাশার আল আসাদের পতনে এইচটিএসকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল ইসরায়েল।