September 10, 2025
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

নির্বাচনে কোনো রাজ‌নৈ‌তিক দলের অংশগ্রহণ করতে পারা না পারা ইসির বিষয়

আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোন দলগুলো অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এটা একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয় বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এমন পরিস্থিতি হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিদেশি বন্ধুদের মনোভাব কী, জানতে চাওয়া হয় উপদেষ্টার কাছে। জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, একটু স্পেকুলেটিভ হয়ে গেল প্রশ্নটা। কারণ, এখনো তেমন কিছু ঘটেনি। প্রথম কথা হলো, কারা নির্বাচন করতে পারবে বা পারবে না, এটা একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নিয়ে আমি একটি কথাও বলব না। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কয়টি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে, জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি শুধু একটির কথা আপনাদের জানাতে পারি, ইইউ থেকে প্রাক নির্বাচনী একটি দল এসে ঘুরে গেছে। এ পর্যন্ত এটুকুই তথ্য। নির্বাচন তো এখনো বেশ দেরি আছে। আমরা জানি যে, এগুলো চূড়ান্ত হয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এর চেয়ে বেশি তথ্য আমার কাছে এখন নেই। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যত রকমভাবে পারবে, বাধা দেবে। বাংলাদেশের সত্তাকে গড়ে তুলতে তারা বাধা দেবে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে নির্বাচন বানচাল করার। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, যাতে নির্বাচন না হয়। প্রধান উপদেষ্টা বাধার ক্ষেত্রে বিদেশি কোনো বন্ধুকে ইঙ্গিত করছেন কিনা— জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, অন্তত আমার কাছে এমন কোনো তথ্য নেই— কোনো দেশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে কিনা। ভেতরে যদি কারও কিছু থেকে থাকে, সেটার তথ্য আমার কাছে পৌঁছেনি। মালয়েশিয়ায় জুয়ার আসরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দেশটির অভিবাসন দপ্তর ৭৭০ বিদেশিকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে ৩৭৭ জন বাংলাদেশি। আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে সরকারের করণীয় নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মিশন এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে। দেখা যাক, ফলাফল কী দাঁড়ায়। অর্ধেক কিন্তু প্রায় বাংলাদেশের। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর জিনিস এবং তাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যারা কিছু না করে ধরা পড়েছে। কিছু না কিছু তাদের সমস্যা আছে, হয় কাগজপত্র ঠিক নেই বা ওভার স্টে হচ্ছে; কিছু একটা সমস্যা আছেই। তিনি বলেন, আমার মনে হয়, এটা শুধু সরকারের একার বিষয় নয়। এটা সবাই মিলে ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশের যে একটা একক খারাপ অবস্থান, এটা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। এটা আমাদের জন্য খুব ক্ষতিকর হচ্ছে। আমাদের অভিবাসন ব্যয় অত্যাধিক এবং বেআইনিভাবে অত্যাধিক। এটা যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারব, এ সমস্যাগুলো থাকবে।
শেয়ার করুন: