নির্দোষরা যেন হয়রানি না হয়, সরকার অবশ্যই নিশ্চিতের চেষ্টা করবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
কোনোভাবেই যেন নির্দোষ কেউ হয়রানির মুখোমুখি না হয়, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই নিশ্চিতের চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের হেনস্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘটনাগুলোকে কোনোভাবেই এনডোর্স (স্বীকৃতি) করে না।
বিভিন্ন ব্যক্তিদের নামে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি মামলা করে আমরা তো সেই ব্যক্তিকে আটকাতে পারব না। সে কার বিরুদ্ধে মামলা করবে সেটা তার এখতিয়ার। কিন্তু কোনোভাবেই যেন নির্দোষ কেউ হয়রানির মুখোমুখি না হয়, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই নিশ্চিতের চেষ্টা করবে।
লোকজন ভারতের বাঁধের বিপরীতে আমাদের দেশেও বাঁধ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে– এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, লোকে একবার বাঁধ দেওয়ার দাবি জানাবে, আবার আরেকবার বলবে বাঁধটি সরিয়ে দাও। কোনটা আসলে আমি গ্রহণ করব তা বুঝতে আমাকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সহযোগিতা করবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমার নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে মন্ত্রণালয় এবং বোর্ড পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত আর হবে না, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে কথা শুনেই সিদ্ধান্তে যাব। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে না শুনে আমিও আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছিল ভারত বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যা হয়েছে। বাঁধ খুলে দেওয়ায় নাকি বাঁধ উপচে পানি এসে আমাদের এখানে বন্যা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল– এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। বন্যাটা হয়ত হতোই কিন্তু বন্যাতে আমরা বাড়তি কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারতাম, জানমালের ক্ষতি হয়ত কমাতে পারতাম। যদি আমরা আগাম একটু পূর্বাভাস পেতাম। এর আগেও আমরা উজানের দেশকে অনুরোধ করেছি। দু’তিন দিন আগে দেখলাম, সেখানেও (ভারত) বলা হচ্ছে বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তাব নতুন করে বিবেচনা করার সুযোগ আছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মোটামুটি একটা সিদ্ধান্তে এসেছি যে, আমরা বলব, শুধু যে একটি দেশ আমাদের উজানে আছে তা তো নয় আরও দেশ আছে আমাদের উজানে। সব উজানের দেশকে আমরা বলব জলবায়ু পরিবর্তনের এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জরুরি হয়ে গেছে এই তথ্যগুলো আদান-প্রদান করা। বাংলাদেশের যে এতগুলো মানুষ মরে গেল, এই মৃত্যুর দায় নেওয়াটা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আগে যে আমরা বলেছি সেটার রেফারেন্স দিয়ে আমরা আরেকটা চিঠি উজানের দেশগুলোকে পাঠাব।