নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলা যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানি শিকার না হয়। নিরীহ কারও নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে মাঠপর্যায়ের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।
পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপারদের ফোর্সের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করার জন্য নির্দেশ দেন আইজিপি।
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্যকে অযথা ভিকটিমাইজ করা হবে না। জনগণের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে হবে। পুলিশকে জনগণের কাছে যেতে হবে, তাদের সমস্যা বা অভিযোগ শুনতে হবে এবং তদনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা মোকাবিলায় পুলিশকে ধৈর্যের সঙ্গে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সভায় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে অতিরিক্ত আইজি মো. গোলাম কিবরিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত আইজিপি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ, ডিআইজি মো. কামরুল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।