নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে কিছু থিঙ্কট্যাংক জুলাই সনদে কৃষক শ্রমিক নেই বলছে
নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে জুলাই সনদে নারী, কৃষক ও শ্রমিকদের বিষয় নেই বলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রেইস কনসালট্যান্সি নামের একটি সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় প্রেস সচিব এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে কিছু কিছু থিঙ্কট্যাংক বলতে চান যে, কৃষকের সঙ্গে কথা হয়নি, নারীদের সঙ্গে কথা হয়নি, শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়নি। আশ্চর্য লাগে, কথাগুলো কেমনে ওনারা বলেন। তাহলে কি যারা রাজনৈতিক দল, যাদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করল, তারা কি কৃষক, নারী, শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করে না?’
তিনি আরও বলেন, ‘এই থিঙ্কট্যাংকগুলো নিজেদের গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য এসব কথা বলে।’
জুলাই সনদ নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে উল্লেখ করে প্রেস সচিব আরও বলেন, এ ধরনের বিতর্ক কিন্তু পৃথিবীর অনেক জায়গায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে চলে। দ্বিমত থাকবে, তারপর ঐকমত্য হবে। দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সরকার তার ওপরে অর্পিত দায়িত্ব অনুসারে একটা সিদ্ধান্ত দেবে।
আলোচনা এখন হয়েছে, আবার নির্বাচনের পরও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, সুশাসন চায় এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ চায়। ভবিষ্যতে যারা সরকার গঠন করবে, তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান হবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সবার একটা স্পষ্ট শক্তিশালী অবস্থান থাকতে হবে, বলেছেন শফিকুল আলম।
নির্বাচন ঠিক সময়ে, একদম ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘পুরো দেশে নির্বাচনী জোয়ার এসেছে, জনগণ একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার পাবে।’
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক শাহাব এনাম খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সভাপতিত্ব করেন ট্রেস কনসালট্যান্সির প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন।

