নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রকেটে মহাশূন্যে গবেষণা স্যাটেলাইট পাঠাল ইরান
মহাকাশে এবার একটি গবেষণা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে ইরান। এটা চলতি বছর উৎক্ষেপণ করা ইরানের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চামরান-১ নামের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয় দেশটির নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করা ‘কায়েম-১০০’ রকেটে করে। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এই রকেট তৈরি করেছে। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরা।
৫০ কিলোগ্রাম ওজনের এই স্যাটেলাইটটিকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ বা লোয়ার অরবিটালে স্থাপন করা হয়েছে। ‘কায়েম-১০০’ রকেটে আইআরজিসির অ্যারোস্পেস বিভাগের তৈরি।
ইরান বলেছে, মহাশূন্যে কী ধরনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কাজ করে, সে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করাই এই স্যাটেলাইটের মূল মিশন। স্যাটেলাইটটিকে সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে সেখান থেকে ভূনিয়ন্ত্রণ কক্ষে সংকেতও এসেছে।
এই ধরনের উৎক্ষেপণের ব্যাপারে ইরানকে বারবার সতর্ক করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা বলছে, একই প্রযুক্তি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। আর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
তবে ইরান বলছে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে না। তাদের স্যাটেলাইট ও রকেট উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বেসামরিক ব্যবহার বা প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা।
এদিকে ইরান জানিয়েছে, এরই মধ্যে তারা ধারাবাহিকভাবে ১৩টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। তবে গত মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মারা যাওয়ার পর নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ানের অধীনে এটিই প্রথম উৎক্ষেপণ।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরানের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিধিকে অমান্য করেছে। তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার কার্যকলাপে জড়িত না হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।