নারী বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা
আগামী অক্টোবরে নারী বিশ্বকাপের নবম আসর বসার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি। তাই বাংলাদেশ থেকে নারী বিশ্বকাপ সরিয়ে নিতে পারে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। যেখানে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় আইসিসি রেখেছে বলেও খবর দিয়েছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’। যদিও বিসিবি থেকে আইসিসির কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। দেশের এমন অরাজকতাও বিশ্বকাপ আয়জন করতে চায় বিসিবি।
ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই বিষয়ে নিজেদের উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘একটা বিষয় আমার চোখে পড়েছে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের বিষয়টি। আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার সঙ্গে আছেন।’
বিশ্বকাপ আয়োজনে আশাবাদী এবং সব রকমের প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রবিবারেই বসবো। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কদিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারবো।’
দুইদিন আগেও আইসিসিকে নিরাপত্তার বিষয়ে অবগত করতে সেনা প্রধানের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমরা খুব বেশি লোক দেশে নেই। বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাতে আর মাত্র দুই মাস সময় আছে।’
আইসিসি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলাপ করছে। তারা আরও বলেছে, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তাকে সবার আগে প্রাধান্য দেবে। আইসিসি বলেছে, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, নিরাপত্তা এজেন্সি ও আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা পরামর্শকদের সমন্বয়ে নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সব অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তাকে আমরা অগ্রাধিকার দেই।’