নারী দলের ক্যাম্পকে ‘আয়নাঘরের’ সঙ্গে তুলনা, যা বললেন সাবিনা
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে অনেক আন্দোলন-প্রতিবাদ হয়েছে। সাবেক কয়েকজন নারী ফুটবলার ও সংগঠক বাফুফে ভবনের চারতলায় নারী দলের ক্যাম্পকে আয়নাঘরের সঙ্গে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাদের দাবি ও যুক্তি ছিল, নারী ফুটবলাররা ক্যাম্পে কর্মকর্তাদের নানা রকম নির্যাতনের মধ্যে থাকেন। ভয়ে না কি নারী ফুটবলাররা সেই তথ্য প্রকাশও করতে পারেন না!
আগামীকাল সাবিনারা সাফ মিশনে কাঠমান্ডু রওনা হবেন। আজ বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আকস্মিকভাবে আয়নাঘর প্রসঙ্গ উঠেছিল। এমন প্রশ্ন ও অভিযোগ শুনে খানিকটা অবাক হয়েই সাবিনা বলেন, ‘জাতীয় দলের সঙ্গে বয়স ভিত্তিক ফুটবলাররাও রয়েছে। একটি তলায় অনেক ফুটবলার তাই অনেক রুমে ৬-৭ জন করেও থাকতে হয়। একটু কষ্ট হয় অনেক ক্ষেত্রে। তবে নারীদের ক্যাম্পে এমন কিছু হয় না যে আয়নাঘর প্রসঙ্গ আসবে।’
২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকেই বাক বদলের শুরু। এরপর থেকেই বাফুফে ভবনের চারতলায় নারী ক্যাম্প চলে। এখন পর্যন্ত সেটা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য বাফুফেকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘একটি ক্যাম্প চালানো অনেক কষ্টের। যারা এটি চালায় তারা জানে। নারীদের নিরবিচ্ছিন্ন ক্যাম্প না হলে ২০২২ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া যেত না। সেই ২০১০-১২ সালের দিকে টুর্নামেন্টের এক মাস আগে ক্যাম্প ও ৫-৬ গোলে হারার ঘটনাই ঘটত নিয়মিত ক্যাম্প না হলে।’
গত এক দশক ধরে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। বর্তমান মেয়াদে কিরণের এটিই শেষ দায়িত্ব। নিজের সীমাবদ্ধতা ও সফলতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনেক কিছুই করার ইচ্ছে ছিল আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য হয়নি। বিশেষ করে ফিফা উইন্ডোতে দেশে ম্যাচ খেলতে ৩০-৪০ লাখ, বিদেশে গেলে আরো বেশি অর্থ প্রয়োজন। যা সব সময় আমরা জোগাড় করতে পারিনি। সরকার ও পৃষ্ঠপোষক থেকে সহায়তা পেলে এই অপূর্ণতা ভবিষ্যতে পূরণ হতে পারে। নারী ফুটবলের আজকের এই অগ্রগতির পেছনে মূল অবদান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। তার সহায়তা ছাড়া নারী ফুটবল এই পর্যায়ে আসতে পারতো না। আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন আপনারা (সাংবাদিকরা)।’
নারী ফুটবল দলের বিদেশ সফর মানেই ছিল কয়েকজন কর্মকর্তার বহর। বিশেষ করে সিনিয়র-জুনিয়র যেই টুর্নামেন্ট হোক ম্যানেজার হিসেবে আমিরুল ইসলাম বাবু ছিলেন স্থায়ীই। বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষ্যে এবার তিনি যাচ্ছেন না। অথচ হেড অফ ডেলিগেট করা হয়েছে টিপু সুলতানকে, যিনি নির্বাচনের প্রার্থী। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠলে বাফুফের নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান বলেন, ‘২৬ অক্টোবর নির্বাচন। এর আগে যেতে পারছি না। ৩০ অক্টোবর ফাইনালে উঠলে অবশ্যই যাব।’