ধবলধোলাইয়ের পর নিজেদের ঘাটতি চিহ্নিত করলেন শান্ত
টানা দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজে হারল বাংলাদেশ। ভারতের পর এবার দেশের মাটিতেও শান্ত-মুশফিকদের পারফরম্যান্স একেবারে যাচ্ছেতাই। ব্যাটিং ব্যর্থতায় টানা ধবলধোলাইয়ের বৃত্তে আটকে থাকা বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আজ চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট দুদিন বাকি থাকতেই তিক্ত হার উপহার দিলো স্বাগতিকদের। এমন বিপর্যস্ত অবস্থায় নিজেদের ঘাটতি চিহ্নিত করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ও ২৭৩ রানের ব্যবধানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলপতি। সেখানে নিজেদের ঘাটতির কথা উল্লেখ করে শান্ত বলেন, ‘দুটোই (দুর্বলতা)। স্কিল এবং চিন্তাভাবনা– দুটাই। আমাদের স্কিলের অনেক জায়গা আছে যেখানে উন্নতি করতে হবে, পাশাপাশি চিন্তা-ভাবনাতেও পরিবর্তন আনতে হবে। উন্নতি করতে হবে এটা তো অনেক দিন ধরেই বলছি। কোন জায়গায় উন্নতি দরকার এটা খুঁজে বের করতে হবে।’
খুব স্বাভাবিকভাবেই শান্ত সরাসরি দায় চাপালেন দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার ওপর, ‘উইকেট নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে নয়, অনেক দিন থেকেই আমরা কথা বলছি। উইকেট ভালো ছিল। মিরপুরেও আমরা যেভাবে আউট হয়েছি, এত তাড়াতাড়ি আউট হওয়ার কথা না। দুই টেস্টেই আমরা ব্যাটিং ভালো করিনি। এটা অবশ্যই খুবই হতাশাজনক। এগুলো থেকে বোঝা যায় আমাদের কত উন্নতির জায়গা আছে। পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলেই জিতেছি। মাঠে ও মাঠের বাইরে অনেকগুলো জায়গা আছে, যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
বাংলাদেশের টপ অর্ডারে বড় জুটি গড়তে না পারার ব্যর্থতা দীর্ঘদিনের। এবারও এ নিয়ে চরম হতাশা ঝরল শান্ত’র কণ্ঠে, ‘শুধু এই দুই ইনিংস বলব না। খেয়াল করে দেখেন, লম্বা সময় ধরেই এরকম হচ্ছে। টেস্টে টপ অর্ডার থেকে যদি পার্টনারশিপ না হয় তাহলে পরের ব্যাটারদের জন্য খুবই কঠিন লাল বলের ক্রিকেটে। ওপরে যারা ব্যাটিং করে তারা কী চিন্তা করে বা কী ধরনের প্রস্তুতি নেয় আমি জানি না। তবে এভাবে যদি চলতে থাকে, এরকম ফলাফলই হবে।’
মাঠের বাইরের বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা দিয়ে শান্ত বলেন, ‘মাঠের বাইরের বলতে আমি খেলোয়াড়দের স্কিলে উন্নতির কথা বলেছি, অন্য কিছু বুঝাইনি। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ব্যাটিং এরকম হচ্ছে। যখন প্র্যাকটিস করি, ওই জায়গায় ঘাটতি আছে কি না খেয়াল রাখা দরকার।’
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটারের ন্যায় শান্তও ব্যাট হাতে পুরো সিরিজে ব্যর্থ ছিলেন। প্রথম টেস্টে যথাক্রমে ৭ ও ২৩ রানের পর দ্বিতীয় টেস্টে তিনি করেছেন ৯ ও ৩৬ রান। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী মিরাজ, জাকের আলি অনিকের একটি করে ফিফটি করেছেন। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুুমিনুল হকের ব্যাটে আসে ৮২ রান। এটাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বলার মতো কিছু। অথচ একই ভেন্যুতে দক্ষিণ আফ্রিকার অনভিজ্ঞ ব্যাটাররা রান তুলেছেন অনায়াসে। দুই টেস্ট মিলিয়ে তারা ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পেয়েছে ৪টি।