দ্রুততম সেঞ্চুরির পর যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৫৩টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এতদিন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে পারেননি বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। আজ (বৃহস্পতিবার) সে অপেক্ষা ঘুচেছে। ফারজানা হকের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে শতক করলেন জ্যোতি। ১৫ চার ও এক ছক্কায় ৭৮ বলে তিনি বাংলাদেশিদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্রুততম শতকের রেকর্ডও গড়েছেন।
জ্যোতির সেঞ্চুরি এবং শারমিন আক্তার সুপ্তার অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংসে ভর করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। পরে বল হাতে ঘূর্ণি দেখান ফাহিমা খাতুন-জান্নাতুল ফেরদৌসরা। দুজনে মিলে বিশ্বরেকর্ড গড়ে তুলে নিয়েছেন দশ উইকেট। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭২ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে থাই নারীরা মাত্র মাত্র ৯৩ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে ১৭৮ রানের বড় জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু করল টাইগ্রেস মেয়েরা।
জয় দিয়ে বাছাইপর্ব শুরুর পর বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে জ্যোতি প্রতিক্রিয়া জানালেন এভাবে, ‘আলহামদুলিল্লাহ টুর্নামেন্টের প্রথম জয়। দলের জন্য কনট্রিবিউট করতে পেরে, অনেক ভালো লাগতেছে। প্রথমে সেঞ্চুরি করার পর এভাবে মাথায় ছিল না যে দ্রুততম সেঞ্চুরি হয়েছে বা অন্য কিছু। টার্গেট ছিল দলের রান যেন ২৫০ প্লাস হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিংকি এবং সুপ্তা আপু যখন ব্যাটিং করতেছিল মনে হচ্ছিল যখন আমি যাব তখন ভালো একটা স্ট্রাইকরেটে দ্রুত রান তুলব। পরবর্তীতে দলের ব্যাটার যারা যাবে তারাও যেন ২৫০ টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ সুযোগ ছিল সেটা করতে পেরেছি। তার জন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।’
ওয়ানডেতে নিজেদের সর্বোচ্চ পুঁজি নিয়ে কাজটা আগেই সেরেছিল বাংলাদেশ। পরে বোলাররাও সেই সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে। তাদের প্রশংসা করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘বোলাররা অসম্ভব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে স্পিনাররা, এরকম একটা রেকর্ড। আসলে একটা ইনিংসের দুই বোলারই পাঁচ উইকেট এটা অনন্য একটা কীর্তি। তারা যেভাবে দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করেছে, এটা অনেক ইন্সপায়ারিং। সামনের ম্যাচগুলোতেও যেন এভাবে খেলতে পারে সেটাই প্রত্যাশা।’