দ্রুতই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনের গেজেট হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
দ্রুতই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই গেজেট হবে। গেজেটে আইন প্রয়োগে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও গাড়িচালকদের পুনঃপ্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, হর্নের শব্দে সচিবালয়ে কাজ করা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা একটি নরকে পরিণত হচ্ছে। হর্নের যন্ত্রণায় মানুষ বিকার গ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। শব্দ দূষণের কারণে একটা অস্থির প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে। রাজধানীতে যতগুলো সোসাইটি আছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। বিদেশে হর্ন বাজানো মানে গালি দেওয়া।
গবেষণা বলছে, যানবাহনের হর্ন, নির্মাণকাজ, শিল্পাঞ্চলের মেশিন এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে মাইক্রোফোনের অপব্যবহারের ফলে দেশে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মানসিক চাপ, বধিরতা বাড়ছে। এমনকি শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সচেতন নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরেই এটি নিয়ন্ত্রণে আইনের প্রয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন। আর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলছেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আকাশে যে মেঘ এসেছিল, দুদেশের স্বার্থেই সে মেঘ সরাতে হয়েছে।’
দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঠিক রাখতে গিয়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকে অস্বীকার করার উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেশ কদিন ধরেই ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা। বলেন, রাজনৈতিক দল ছাড়া যদি সংস্কার সম্ভব না হয়, তাহলে গত ৫৩ বছরে কেন সংস্কার হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোকে এই জবাবটা দিতে হবে।