November 25, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

দুর্গাপূজা নিয়ে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য এবং এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে গালাগাল করায় তীব্র নিন্দা ও বিক্ষোভ মিছিল খুলনা যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের

নয়ন ইসলাম: মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে অকথ্য সাম্প্রদায়িক ভাষায় গালাগাল এবং শারদীয় দুর্গাপূজা নিয়ে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম বাহাউদ্দিন বাহারের সাম্প্রদায়িক ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা জেলা ও মহানগর যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্যপরিষদ।


এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৪ অক্টোবর বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পূজার প্রস্তুতি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় বাহাউদ্দিন বাহার ‘মদমুক্ত পূজা’ করার যে সাম্প্রদায়িক কটাক্ষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তার মধ্য দিয়ে তিনি তার সাম্প্রদায়িক চেহারায় পূজার্থীদের সামনে উন্মোচিত করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘মদ’ পূজার আনুষাঙ্গিক কোনো বিষয় কখনো ছিল না, আজও নেই এবং মদের জন্য পূজার সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে বলে তিনি যে উক্তি করেছেন তা তার ‘রাজনীতিক’ ও ‘মুক্তিযোদ্ধা’ পরিচয়কে জনসমক্ষে নিঃসন্দেহে ভূলুণ্ঠিত করেছে। কারণ কোনো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা ব্যঙ্গ করতে পারে না। ঐক্যপরিষদ নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে এ মর্মে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই সাংসদকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তার খেসারত তাকে দিতে হবে।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লব কর্তৃক প্রকাশ্য সমাবেশে স্থানীয় এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে সাম্প্রদায়িক গালাগাল, কুমিল্লার সাংসদ বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক শারদীয় দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করে পূজার্থী জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, কুড়িগ্রামে চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় পূজার প্রাক্কালে অব্যাহতভাবে মন্দিরে হামলা ও বিগ্রহ ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন করার দাবিতে বাংলাদেশ যুব ঐক্যপরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্যপরিষদ আগামী ১৩ অক্টোবর শুক্রবার যৌথভাবে সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের ডাক দিয়েছে। ঢাকায় এ কর্মসূচি পালিত হবে ওইদিন সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে।

খুলনা জেলা ও মহানগর যুব ঐক্য পরিষদ ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে উক্ত কর্মসূচি খুলনা পিকচার প্যালেস মোড়ে পালিত হবে। যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সকল মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ, ঐক্য পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনসমূহ,পূজা উদযাপন পরিষদ, ধর্মীয়, মানবাধিকার এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠেনের নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন: