দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড়, শনাক্ত ১০০০
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকালের দিকে দিল্লির কালিন্দ কুঞ্জ এলাকায় বাংলাদেশিদের শনাক্তে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত কয়েকদিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলেছে, মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় রাজধানীর কালিন্দ কুঞ্জ এলাকায় অবৈধ বাংলাদেশিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে দিল্লি পুলিশ। সেখানকার একজন বাসিন্দা বলেছেন, পুলিশ বাসিন্দাদের কাছে সরকারি পরিচয়পত্র ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য চেয়েছে। এ সময় বাসিন্দাদের বিভিন্ন বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘‘এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৬ বার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তারা এখানে বসবাসের এবং সরকারি পরিচয়পত্রের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে। এখানে কোনও বাংলাদেশি বসবাস করেন না।’’
এদিকে, একই দিনে দেশটির রাজধানীতে বাংলাদেশিদের অবৈধ আধার কার্ড ও জাল নথি তৈরি করে দেওয়ার কাজে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আধার কার্ডের অপারেটর ও ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরিতে জড়িত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন।
দিল্লি পুলিশের দক্ষিণ জোনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) অঙ্কিত চৌহান বলেন, অভিযুক্তরা ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাল আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং অন্যান্য ভুয়া নথিপত্র তৈরি করে বাংলাদেশি নাগরিকদের সহায়তা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘‘অবৈধ অভিবাসীরা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের জন্য জঙ্গল পথ ও এক্সপ্রেস ট্রেন ব্যবহার করেছেন। দিল্লি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভুয়া নথি সরবরাহের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর রাজধানীতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে মুখ্য সচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন।
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে দুই মাসের বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশও দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। দিল্লি পুলিশের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এএনআই বলেছে, শহরটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিকে শনাক্ত করা হয়েছে।