দিয়ালোর ১২ মিনিটের ঝড়ে ইউনাইটেডের রোমাঞ্চকর জয়
প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে প্রথম দেখায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড জয় পেয়েছিল ৩-০ গোলে। তবে এবার ঘরের মাঠে ঘাড়ে চেপে বসেছিল হারের শঙ্কা। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর কোনোভাবেই সমতায় ফিরতে পারছিলো না রুবেন আমোরিমের শিষ্যরা। তবে হার যখন অনেকটাই নিশ্চিত তখন ঝড় তুললেন আমাদ দিয়ালো, করলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক, তাঁর এই রেকর্ড গড়া ৩ গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইউনাইটেড।
ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে এই ম্যাচে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে ম্যানইউ। তবে কোনোভাবেই প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারছিলো না রেড ডেভিলরা। এদিকে ম্যাচের ৪৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ম্যানুয়েল উগার্তে।
উগার্তের গোলে পিছিয় থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরও কোনোভাবেইও সমতায় ফিরতে অয়ারছিলো না ইউনাইটেড। এক পর্যায়ে শঙ্কা জেগেছিল ১৯৩০ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে লিগে টানা চার ম্যাচ হারের রেকর্ডের। তবে ম্যানউকে এই লজ্জাজনক হার থেকে বাঁচিয়েছেন দিয়ালো।
৮২ মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোলটি করার পর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আরও এক গোল করেন দিয়ালো। এরপর অতিরিক্ত সময়ের চতুর্থ মিনিটে করেন আরও এক গোল। তাঁর এই হ্যাটট্রিকেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ।
এদিকে শেষ ১২ মিনিটে করা এই হ্যাটট্রিকে দারুণ রেকর্ডও গড়েছেন দিয়ালো। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। এর আগে ম্যানইউয়ের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ওয়েইন রুনি, তিনি করেছিলেন ২১ বছর ৪ দিনে। আর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন দিয়ালো, তিনি করেছেন ২২ বছর ১৮৯ দিন বয়সে।
দারুণ এই জয়ের পর ম্যাচ শেষে দিয়ালোকে নিয়ে ম্যানইউ কোচ আমোরিম বলেন, ‘সে দারুণ কাজ করেছে। কিন্তু এখনো তাঁর অনেক উন্নতি করতে হবে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের খেলোয়াড় হিসেবে তার দায়িত্বও বাকিদের মতোই। তবে সে দারুণ ছন্দে আছে এবং খুব ভালো একটি মৌসুম পার করছে।’