December 22, 2024
আন্তর্জাতিক

দামেস্কে বিদ্রোহীদের কারফিউ জারি

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ১৩ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাতকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল চারটা থেকে পরের দিন ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

কারফিউ ঘোষণা আসার পরপরই আস্তে আস্তে করে দামেস্কের রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে।

এর আগে, রাজধানী দামেস্কের বিভিন্ন জায়গা থেকে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। রাস্তায় রাস্তায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রেজিমের পতন উৎযাপন করতে দেখা যায় সিরিয় নাগরিক ও বিদ্রোহী বাহিনীকে।

এদিন, দামেস্কের ইতালিয় দূতাবাসে সশস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

একইসঙ্গে ইরানের দূতাবাসেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে সেখানে কর্মরত ইরানি কূটনীতিকরা হামলার আগেই দূতাবাস ছেড়ে চলে গেছেন। ইরানের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানিয়েছে এএফপি।

এর আগে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার (৮ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সিরিয়া ছেড়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সিরিয়ায় সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর আসাদ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন।’

বিমান দুর্ঘটনায় বাশার আল-আসাদ ‘নিহতের’ গুঞ্জন

বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্কের প্রাণকেন্দ্রে ঢুকে পড়ার সময় ব্যক্তিগত একটি বিমানে চড়ে দেশ ছাড়েন বাশার-আল আসাদ। কিন্তু বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই প্রেক্ষিতে তার মৃত্যুর আশঙ্কার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

সিরিয়ার দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিমান দুর্ঘটনার মারা যাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দামেস্ক থেকে তাকে বহনকারী বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে অনেকটা আকস্মিকভাবে দিক পরিবর্তন করে। বিমানের এই দিক পরিবর্তন নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন: