দামেস্কের কাছে ইসরায়েলি হামলা, ছয় সিরীয় সেনা নিহত
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ছয় সিরীয় সেনা নিহত হয়েছেন। সিরিয়ার পক্ষ থেকে রাজধানীর বাইরে নতুন ইসরায়েলি “সামরিক অনুপ্রবেশ” নিয়ে নিন্দা জানানোর একদিন পর দামেস্কের কাছে এই হামলা হলো।
বুধবার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দামেস্কের দক্ষিণে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় সিরীয় সেনাবাহিনীর ছয় কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-ইখবারিয়া। বুধবার ভোরে সম্প্রচারিত খবরে বলা হয়, দামেস্কের উপকণ্ঠে আল-কিসওয়া শহরের কাছে সিরীয় সেনা অবস্থানকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল।
গত ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়া জুড়ে শত শত হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রশস্ত্রই ছিল এসব হামলার লক্ষ্য। এ ছাড়া ইসরায়েল গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন দখল করে তার দখলদারিত্ব আরও বিস্তৃত করেছে। এই পদক্ষেপ ১৯৭৪ সালের সিরিয়া-ইসরায়েল চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন।
এর আগে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার অভিযোগ করে, ইসরায়েল মাউন্ট হারমোনের আশপাশের এক কৌশলগত পাহাড়ি অঞ্চল দখলে নিতে সীমান্ত পেরিয়ে ৬০ জন সৈন্য মোতায়েন করেছে। এই এলাকা লেবাননের সীমান্ত সংলগ্ন বেইত জিন শহরের কাছাকাছি। ইসরায়েল অবশ্য এই অভিযোগের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি অভিযোগ করেন, নিজেদের “সম্প্রসারণবাদী ও বিভাজন পরিকল্পনা” বাস্তবায়নের জন্য ইসরায়েল নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় গোয়েন্দা কেন্দ্র ও সামরিক পোস্ট গড়ে তুলছে।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার “গ্রেটার ইসরায়েল” ধারণার কথা তুলে ধরেন। উগ্র জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলিরা এ পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছে, যার আওতায় দখলকৃত পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, লেবানন, সিরিয়া, মিসর ও জর্ডানের অংশবিশেষও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এরপর ৩১টি আরব ও ইসলামি দেশ এবং আরব লীগ ইসরায়েলের এই অবস্থানকে আন্তর্জাতিক আইনের নিয়ম ও স্থিতিশীল বৈশ্বিক সম্পর্কের ভিত্তি লঙ্ঘনের “স্পষ্ট ও বিপজ্জনক উদাহরণ” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।