দক্ষ করে জনশক্তি বিদেশে প্রেরণ করতে হবে : প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, কর্মীদের দক্ষ করে জনশক্তিতে রূপান্তর করে বিদেশে প্রেরণ করতে হবে। বৈধ পথে তাদের অর্জিত রেমিটেন্স দেশে পাঠাতে হবে। আমাদের কর্মতৎপরতায় বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীরা বিভিন্ন কারিগরি জ্ঞান ও ভাষার উপর দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকা টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ডিটিটিটিআই)-এ হাউজকিপিং প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রস্তুতকৃত ম্যানুয়ালের ওপর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো পুরাতন আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ায় তা নতুন প্রজন্মের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোয় আধুনিক যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধু প্রবাসীকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলেই হবে না, প্রশিক্ষকদেরও প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমি আশা করছি, আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে কিছুদিনের মধ্যে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজাতে সক্ষম হবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে তথা বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, এখন তিনি লক্ষ্য স্থির করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার। আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্তরিকভাবে কাজ করলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সমর্থ হবো।
বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের ভাষা জ্ঞানের উপর জোর দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো (টিটিসি) কি কি ধরনের ট্রেডে চালু আছে? বা আমরা কি কি ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মীদের দেই তা সবাইকে জানার সুযোগ করে দিতে হবে। প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
হাউসকিপিং কোর্সের প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণার্থীদের নিজেদের পরিবারের সদস্য ভাবতে হবে। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন, আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করতে সমর্থ হয়েছি। সব ধরনের বাধা দূর করে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকেও আধুনিকীকরণ করতে সমর্থ হবো। প্রবাসীদের সব সমস্যা আমার জানা। প্রবাসীদের কষ্ট আমি অনুভব করি। প্রবাসীদের সব সমস্যার সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি আপনাদের একজন হিসেবে সর্বদা কাজ করব।