তারেক রাজনৈতিক নেতা নয়, ভণ্ড-প্রতারক: পরশ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো রাজনৈতিক নেতা নন বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তাকে ভণ্ড-প্রতারক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, তারেক রাজনৈতিক নেতা হলে অনেক আগেই দেশে চলে আসত।
বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ’ শীর্ষক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসনভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ‘বিএনপি সংগঠনটি বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে পলাতক আসামি তারেক রহমান দ্বারা। আমি একটি কথা অনেক দিন ধরে বলছি- যে তারেক রহমান কোনো রাজনৈতিক নেতা না। রাজনৈতিক নেতা যদি হতো তাহলে সে অনেক আগেই দেশে চলে আসত। সে ভুয়া এবং প্রতারক। সে এদেশের যুব সমাজ, তরুণ সমাজকে বিভ্রান্ত করছে; তাদের বিপথে ঠেলে দিচ্ছে।’
পরশ বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক নেতার আন্দোলন, কোনো সংগ্রাম সফল হয় না যদি নেতৃত্ববিহীন থাকে। আজকে তাদের প্রতারণার চেহারা, তাদের সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচিত হয়েছে।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশি নেতারা দেশের উন্নয়নে প্রশংসা করছে। এদেশের মধ্যে শান্তি ও অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বিরাজ করছে। আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আমাদের ভিন্ন মতাদর্শী ও সংখ্যালঘুদের ওপর কীভাবে অত্যাচার করেছে। তার প্রমাণ আপনাদের সবার কাছেই আছে। জামায়াত-বিএনপির মূল উদ্দেশ্য এদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করা এবং একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। কারণ তাদের সাথে যাদের বন্ধুত্ব, তাদের দোসর যারা, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বই চায় নাই। সুতরাং তারা কীভাবে এদেশের মঙ্গল করবে? তাই তারা ওই জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
পুলিশ বাহিনী, সংবাদ মাধ্যম ও বিচার বিভাগ বিএনপি-জামায়াতের চক্ষুশূল দাবি করে বলেন, ‘এর আগেও তারা বিচারালয়ে, সাংবাদিক বন্ধুদের ও পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই উদ্দেশ্য পুলিশ বাহিনীর জন্য সফল হচ্ছে না বিধায় তারা বার বার পুলিশের ওপর হামলা করছে।’
গাবতলীতে যুবলীগের অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন। আপনারা দেখেছেন গত ২৮ তারিখ থেকে এই সন্ত্রাসীরা কীভাবে সারাদেশে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে রেহায় পায়নি আমাদের দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা কী নির্মমভাবে পিটিয়ে পুলিশ ভাইকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় তারা মসজিদে আগুন দিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, হাসপাতালে আগুন দিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে আগুন দিয়েছে। এটাই তাদের আসল চেহারা। তারা এদেশের মানুষকে চায় না তারা শুধু ক্ষমতা চায়। এই জন্যই সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষতি করার জন্যই অবরোধ দিয়েছে।’
এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ আসনের কামরাঙ্গীরচর হাসপাতালে মাঠ, ঢাকা-৪ আসনের ধোলাইপাড় মোড়, ঢাকা-৫ আসনের শনিরআখড়া-দনিয়া, ঢাকা-৬ আসনে ভিক্টোরিয়া পার্ক, ঢাকা-৭ আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে, ঢাকা-৯ আসনে কমলাপুর স্কুলের সামনে, ঢাকা-১০ আসনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১২ আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইটে, ঢাকা-১৩ আসনে শ্যামলীতে, ঢাকা-১৪ আসনে গাবতলীতে, ঢাকা-১৫ আসনে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে, ঢাকা-১৬ আসনে মিরপুর-১১ বাসস্ট্যান্ডে, ঢাকা-১৭ আসনে মহাখালী কাঁচাবাজারে ও ঢাকা-১৮ আসনে আজমপুর উত্তরায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।