‘তারুণ্যের কার্যকর প্রয়োগ পর্যটন শিল্পে গুণগত পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘তারুণ্যের কার্যকর প্রয়োগ পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৪’ যথাযথভাবে উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘ট্যুরিজম এন্ড পিস’ প্রতিপাদ্য যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
তিনি বলেন, পর্যটনের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। পর্যটনের দ্বারা বিভিন্ন জাতির ও সংস্কৃতির ভাব বিনিময় সম্ভব যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও শান্তির বন্ধন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টায় একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমি বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করি।
বাণীতে ড. ইউনূস আরও বলেন, দেশি ও বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের নানাবিধ উপকরণ বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক পরিবেশ, বৈচিত্র্যময় জীবনধারা, বছরব্যাপী আকর্ষণীয় উৎসব ও সংস্কৃতি, মুখরোচক খাবার, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, বন ও জলাভূমি, এদেশের মানুষের অকৃত্রিম আতিথেয়তা ইত্যাদি বরাবরই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যটন একটি শ্রমনির্ভর অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্প, যেখানে নিয়োজিত রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির অংশীজন। এই শিল্প দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ড এর সুযোগ-সুবিধার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছে। ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ড এর মূল চালিকাশক্তি তারুণ্য। তারুণ্যের শক্তি, বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত প্রযুক্তি জ্ঞানকে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তারুণ্যের কার্যকর প্রয়োগ পর্যটন শিল্পের ইতিবাচক ও গুণগত পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।