ডেটা বিক্রির অনাচারের অবসান, কার্যকর হলো ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকর হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমরা প্রমাণ করেছি আমরা পারি, নতুন বাংলাদেশ পারে। ডেটা গভর্ন্যান্সের নতুন অধ্যায়ের এই সূচনা বিন্দুতে আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধান উপদেষ্টাকে। স্যারের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (জেনারেল ডেটা প্রটেকশন রেগুলেশন) এর এক দশক পরে হলেও আমরা পেরেছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আজকের দিনের আগে এবং পরে, বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনা প্রশ্নকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিল করতে হবে আইনিভাবে। প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে। মানুষের ডেটা যাচ্ছেতাইভাবে ডিল করা, ডেটা বিক্রি করার বদমাইশি আজ থেকে আইনিভাবে শেষ হলো।’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট ও সহযোগী কোম্পানিগুলো, এবং কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলো যে দুর্বৃত্তপনা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঘোরতর লঙ্ঘন, যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডেটা বিক্রির যে অনাচার বাংলাদেশে তৈরি করেছে, আজ থেকে তার কবর রচিত হলো।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমরা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহিতাহীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো। প্ল্যাটফর্মসমূহের যৌক্তিক আচরণের অধ্যায়ও শুরু হলো। বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে ডিজিটাল ব্যবসা করতে পারবে না কেউ।’
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, ‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে— আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এজন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন আগামীতে করা হবে বলেও জানান তিনি।’

