ডেঙ্গু কেড়ে নিলো আরো ৫ প্রাণ, হাসপাতালে ৯২৭ জন
ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়েই চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকেও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশে ডেঙ্গু মহামারি চলছে। এমন বাস্তবতায় ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্য ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার রোধে বৈশ্বিক পরিকল্পনা ঘোষণা করে সংস্থাটি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও সংস্থাটি ওই বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংক্রমণকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করে। এই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া দৈনিক তথ্যও বলছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তি নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গুর দৈনিক প্রতিবেদন তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২৭ জন। মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরো ৫ জন। চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৬৫। আর এসময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের।
তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রোগী ছিলো ২৬০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৭২ জন, ঢাকা বিভাগে ১৭৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এলাকা বাদে) রোগী ছিলো ৪৯ জন, বরিশাল বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এলাকা বাদে) ১০২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এলাকা বাদে) ৭৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের এলাকা বাদে) ৩৮ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এলাকা বাদে) ১৮ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এলাকা বাদে) ৩০ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি কর্পোরেশন এলাকা বাদে) ৯ জন।
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ২ জন ডিএসসিসি, ১ জন ডিএসসিসি ও বাকি ২ জন বরিশাল বিভাগের।