ট্রাম্পের মন জয়ে ব্যর্থ ভারত, পাল্টা শুল্ক ২ এপ্রিল থেকে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর অন্যরকম পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে ভারতের ক্ষেত্রেও চালু হবে এ শুল্ক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এ ধরনের শুল্ক যাতে আরোপ না হয়, সেজন্য ভারত কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ভাষণে অন্য কয়েকটি দেশের নামের পাশাপাশি ট্রাম্প ভারতের নামও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ভারত আমাদের কোনো কোনো পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপায়। এটা ন্যায্য নয়।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। এ দফায় তিনি শুরু থেকেই ভারতের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে মুখর। একসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘ট্যারিফ কিং’ বলেও মন্তব্য করেন। মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ও শুল্কনীতির প্রকাশ্য সমালোচনা করেন। তিনি মোদিকে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চাইলেও শুল্ক ছাড় তিনি দেবেন না। এ শুল্ক আরোপ ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মন পেতে আগেই সে দেশ থেকে আমদানি করা মোটরবাইক ও হুইস্কির মতো বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক কমায় দিল্লি। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে গিয়ে মোদি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার প্রস্তাব দেন। নতুন বাণিজ্য চুক্তি করে ভারতের বিশাল বাজার তাদের জন্য খুলে দেওয়ার বার্তাও শোনান। কিন্তু তার পরও ট্রাম্প অনড় থাকেন।
ট্রাম্পকে ঠেকানোর শেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি গত রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠান দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালকে। তাদের লক্ষ্য ছিল ট্রাম্প প্রশাসনকে বোঝানো যে, ভারতকে যাতে পারস্পরিক শুল্কনীতি থেকে বাইরে রাখা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর কাজ দেয়নি। ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ বা অনুরূপ পাল্টা শুল্কের ঘোষণাই দিয়ে দিলেন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।