September 19, 2024
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের প্রশ্ন কমলা হ্যারিস ভারতীয় নাকি কৃষ্ণাঙ্গ?

ফের মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের বিষয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া এক বক্তব্যে ট্রাম্প দাবি করেন, কমলা আগে নিজের কৃষ্ণাঙ্গ পরিচয় সামনে আনতেন না। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। এরই মধ্যেই দুজনেই জোর প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।

বুধবারের ওই সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কমলা হ্যারিস সব সময় নিজেকে ভারতীয় বলেই দাবি করতেন। তিনি শুধু ভারতীয় ঐতিহ্যকেই সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে পরিচয় দেওয়ার আগপর্যন্ত আমি জানতামই না যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ। এখন তিনি কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে গেলেন এবং এই পরিচয়ে পরিচিত হতে চাচ্ছেন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প যখন এসব কথা বলছিলেন তখন ওই সম্মেলনে প্রায় এক হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বিদ্রুপাত্নক অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করছিলেন।

ট্রাম্প কমলাকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমি আসলে জানি না, তিনি কি ভারতীয় নাকি কৃষ্ণাঙ্গ? তবে আপনারা জানেন যে, আমি এই দুই পরিচয়কেই শ্রদ্ধা করে থাকি। কিন্তু তিনি (কমলা) নিশ্চিতভাবে সেটা করেন না। কারণ তিনি শুরু থেকেই ভারতীয় ছিলেন। হঠাৎ করেই তিনি সুর পাল্টে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত হয়েছেন।

তবে কমলা হ্যারিস ভারতীয় ও জ্যামাইকান দুই ঐতিহ্যই বহন করেন। দীর্ঘ সময় ধরেই তিনি নিজেকে কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় বলে পরিচয় দিয়ে আসছেন। এমনকি কমলাই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় আমেরিকান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন।

এবারই প্রথম নয়। এর আগেও কমলাকে ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। তাকে ইহুদিবিদ্বেষী বলেও উল্লেখ করেছেন। অথচ কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস ক্রেগ এমহফ একজন ইহুদি। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তারা। ২০২১ সালে কমলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সেকেন্ড জেন্টলম্যান হন ডগলাস। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার কোনো প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের ইহুদি জীবনসঙ্গী হওয়ার রেকর্ডও তার।

এদিকে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন। এখন দেখার বিষয় হোয়াইট হাউজের জন্য এই লড়াইয়ে হ্যারিস শেষপর্যন্ত ট্রাম্পকে টক্কর দিতে পারবেন কি না।

শেয়ার করুন: