November 14, 2024
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে চাপের মুখে বৈশ্বিক পণ্যবাজার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না হলেও প্রয়োজনীয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে হোয়াইট হাউসে তার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ঘটছে।

তার জয়ে চাপের মুখে রয়েছে বৈশ্বিক পণ্যবাজার। বুধবার তেল, ধাতু ও শস্যসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম কমে গেছে, কারণ ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্স জানায়, এদিন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও সয়াবিনের দাম প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। মার্কিন ডলারের উত্থানের চাপে এশীয় বাজারে তামার দাম কমেছে ২ শতাংশের বেশি। তবে, মূল্যবান ধাতু সোনার দাম স্থির ছিল।

স্যাংক্সো ব্যাংকের কমোডিটি স্ট্র্যাটিজির প্রধান ওলে হ্যানসেন বলেন, এটি মার্কিন নির্বাচনের ভোট গণনা ও প্রাথমিক ফলের প্রতিক্রিয়া, যেখানে ট্রাম্পের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে।

তিনি বলেন, যদি আমরা ট্রাম্পকে পুনারায় ক্ষমতায় দেখতে পাই, তাহলে সম্ভবত চীনা পণ্যে ট্যারিফ আরোপ হবে, যা ধাতুর বাজারের জন্য নেতিবাচক হবে, কারণ চীন হলো তামা, লোহা আকরিক ও ইস্পাতের বড় ভোক্তা। তেলের দাম কমেছে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে, কারণ ট্যারিফগুলো সামগ্রিক বৈশ্বিক চাহিদার জন্য ক্ষতিকর।

ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করবেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন খাতকে সমর্থন দিতে সাহায্য করবে।

লাং স্টিল রিসার্চ সেন্টারের উপ-পরিচালক গে সিন বলেন, যদি ট্রাম্প নির্বাচনে বিজয়ী হন, তবে চীনের ইস্পাতে দাম আরও কমবে এবং এতে দেশীয় ইস্পাত নির্মাতারা আরও গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

রয়টার্স বলছে, যদি ট্রাম্প প্রশাসন ইরান থেকে তেলের শিপমেন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করে, তাহলে বৈশ্বিক তেল সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। ইরান প্রতিদিন প্রায় ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল রপ্তানি করে।

যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সয়াবিন রপ্তানি করে চীনে। বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে কৃষি খাতও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের ওপরও পাল্টা শুল্ক চাপিয়ে দিতে পারে চীন।

স্পট গোল্ডের দাম গত বৃহস্পতিবার রেকর্ড ২ হাজার ৭৯০ দশমিক ১৫ ডলারে পৌঁছায়। মার্কিং নির্বাচন পরিস্থিতিতে এখনও সোনার দাম সেই অবস্থান বজায় রেখেছে। সোনা ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। সুদের হার কমে গেলে এর দাম বাড়ে।

শেয়ার করুন: