টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের
টেস্ট অভিষেকেই বাজিমাত করলেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ পেসার জ্যাকারি ফোকস। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া এই তরুণ পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ফাইফার। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেল কিউইরা। ইনিংস ও ৩৫৯ রানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দলটি তুলে নিল টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সর্ববৃহৎ জয়।
জিম্বাবুয়ে এই ম্যাচে অলআউট হয়েছে মাত্র ২৮.১ ওভারে, তাও আবার একটানা প্রথম সেশনের মধ্যেই। নিউজিল্যান্ড আগের রাতেই ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৪৭৬ রানের লিড নিয়ে। এতেই স্পষ্ট হয়ে গেছে দুই দলের মধ্যকার ফারাক কতটা বিশাল।
এই সিরিজে মোট চার ইনিংসেই ১৭০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। পরপর ছয়টি টেস্ট হারের রেকর্ডও হয়ে গেছে তাদের। আর নিউজিল্যান্ড দারুণভাবে শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে সফর। টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজে সব ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হবার পর টেস্টেও জিতেছে দুই ম্যাচেই।
চোটের কারণে নাথান স্মিথ আর উইল ওরুর্ক খেলতে না পারায় একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন ফোকস। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চিনিয়েছেন। মাত্র আট ওভারে ভেলকি দেখিয়েছেন ইনসুইংয়ে। ম্যাট হেনরি আর জ্যাকব ডাফির শুরুটা এনে দেওয়ার পর ফোকস নিশ্চিত করেন জিম্বাবুয়ে যেন আর কোনোভাবেই ম্যাচে ফিরতে না পারে। এমনকি অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে বোলিংয়েই আসতে হয়নি।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। সুইং কিংবা গতি- দুটোতেই তারা ধুঁকছে। আর যখন এই দুই অস্ত্র একসঙ্গে কাজে লাগায় প্রতিপক্ষ, তখন তো একেবারেই অসহায়। পুরো সিরিজেই সেই একই চিত্র। এই ইনিংসেও কেবল নিক ওয়েলচ ৪৭ রান করেছেন। বাকিদের মধ্যে কেবল আরেকজনই পৌঁছেছেন দুই অঙ্কে। ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি মাত্র ২৫ রানের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটিই জিম্বাবুয়ের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হার। আর অভিষেকেই সেরা বোলিং ফিগার তুলে নিয়ে নিজেদের পেস শক্তির গভীরতা আবারও প্রমাণ করলেন ফাউলকস।