January 22, 2025
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কারে প্রাধান্য পাচ্ছে গ্রাহক স্বার্থ

টেলিযোগাযোগ খাতের সংস্কারে গ্রাহকের স্বার্থ প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী।

তিনি বলেন, বিদ্যমান লাইসেন্সের রূপান্তর, টেকসই বিনিয়োগ নীতিমালা তৈরি এবং রেগুলেশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এসব বাধা অতিক্রম করে নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সের জন্য সুপারিশমালা আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিটিআরসির সভাকক্ষে টেলিযোগাযোগ খাতের পুনর্বিন্যাসে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে ‘দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে সুশৃঙ্খল, জনবান্ধব, টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব করার লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ খাতের নেটওয়ার্ক টপোলজি ও লাইসেন্সিং ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা হয়।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ডিজিটাল উন্নয়নে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারকে এই কমিটি পরামর্শ দেবে। কমিটির বিভিন্ন কার্যক্রম ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই নীতিমালা তৈরি হবে। আমরা এর আগের নীতিমালাগুলোতে স্বচ্ছ ও টেকসই নীতিমালার ঘাটতি দেখেছি৷ যার কারণে অনেকক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ করেন না। সেজন্য জটিল ও টুকরো টুকরো নেটওয়ার্ককে এক সুতোয় নিয়ে আসতে রিভিউ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান তরঙ্গের ওপর চাপ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।  আমরা ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে ডেটা স্থানান্তর করতে চাই। কারণ, বড় পরিসরের ডিজিটাল সেবা মেটাতে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের পথে থাকা বাঁধাগুলোকে কাটিয়ে তুলতে হবে। এতে করে নতুন প্রযুক্তি সহজেই অভিযোজিত হতে পারবে৷ এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় লাইসেন্স বাদ দেওয়া হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সময়ে করা সংস্কারগুলো পরবর্তীতে রাজনৈতিক সরকারের আমলে টেকসই হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর সময় বলে দেবে। এর আগে যেসব লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে সেগুলোর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের শেষদিকে। ২০২৭ সালে যখন লাইসেন্স নবায়নের সময় আসবে তখন এই সংস্কারটি কাজ করবে। আর নীতিমালাটি টেকসই করতে গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগে সহযোগিতাপূর্ণ অবস্থা রাখা হবে।

সম্প্রতি মোবাইল কলরেট এবং ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, ভ্যাট-ট্যাক্স সরকারের ব্যাপার, বিটিআরসির নয়। তবে আমরা মনে করি, ভ্যাট-ট্যাক্স যতটা কমানো যায়, ততোটা কমানো দরকার। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়া দরকার।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা তৈরি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে কমিটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই সুপারিশ তৈরি করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষজন ই-মেইলে telocom_reform@btrc.gov.bd তাদের মতামত জানাতে পারবেন।

শেয়ার করুন: