June 17, 2025
আন্তর্জাতিক

জ্বালানি তেলের মজুত বাড়াচ্ছে চীন

জ্বালানি তেলের মজুত বাড়াচ্ছে চীন। ফলে দেশটিকে সামনের মাসগুলোতে তুলনামূলক কম পরিমাণে তেল আমদানি করলেও হবে। ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম যখন বাড়ছে তখন এ ধরনের খবর সামনে এলো।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশটি বর্তমানে তার অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে তেল আমদানি ও উৎপাদন করছে। মে মাসে চীনের অপরিশোধিত তেল ব্যবহারে দৈনিক ১৪ লাখ ব্যারেল উদ্বৃত্ত দেখা গেছে, যা টানা তিন মাস ধরে দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি।

চীনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসে দেশটির তেল শোধনাগারগুলো দৈনিক ১ কোটি ৩৯.২ লাখ ব্যারেল তেল পরিশোধন করেছে, যা এপ্রিল মাসের তুলনায় কম এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১.৮ শতাংশ কম।

মে মাসে চীনে দৈনিক অপরিশোধিত তেল আমদানি হয়েছে ১ কোটি ৯৭ লাখ ব্যারেল, যা এপ্রিলের তুলনায় কম। তবে দেশীয় উৎপাদন সামান্য বেড়ে ৪৩.৫ লাখ ব্যারেলে পৌঁছায়। সব মিলিয়ে মে মাসে মোট ১ কোটি ৫৩.২ লাখ ব্যারেল তেল ছিল, যার মধ্যে ১৪ লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত থেকে গেছে।

তেলের এই উদ্বৃত্তের ফলে জুন ও জুলাই মাসে চীন তেল আমদানির পরিমাণ হ্রাস করতে পারবে। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে কিছুটা নিম্নমুখী চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে ১৩ জুন ইসরায়েলের ইরানে বিমান হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় তেলের বাজারে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় ৬ শতাংশ বেড়ে মঙ্গলবার (১৭ জুন) এশীয় বাজারে ব্যারেলপ্রতি ৭৩.৫৮ ডলারে লেনদেন হয়।

যদিও এখন পর্যন্ত ইরানের তেল উৎপাদন বা রপ্তানিতে সরাসরি প্রভাব পড়েনি, তবে ঝুঁকি বাড়ায় বাজারে অনিশ্চয়তা তীব্র হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি করা তেলের সরবরাহে সাধারণত দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে। ফলে চীনের আমদানি হ্রাসের বাস্তব প্রভাব আগস্ট মাস থেকেই দৃশ্যমান হতে পারে।

চীন কৌশলগত ও বাণিজ্যিক মজুতের পরিমাণ প্রকাশ না করলেও আমদানি ও উৎপাদন থেকে শোধনের পরিমাণ বাদ দিয়ে এর একটি সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন: