জেলায় জেলায় ফুটবল আয়োজনের ঘোষণা ক্রীড়া উপদেষ্টার
সব খেলার মূল শেকড়ই জেলা পর্যায়ে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলে জেলা পর্যায়ে নিয়মিত খেলা হয় না ৷ ফলে ফুটবলের পাইপলাইনে ঘাটতি থাকে। সেটা ঘুচতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জেলা পর্যায়ে ফুটবল আয়োজনের পরিকল্পনা করেছেন।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘জেলা পর্যায়ের ক্রীড়াঙ্গনকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। বাফুফেকে জেলা পর্যায়ের ফুটবলের ব্যাপারে ডিজাইনিং করতে বলেছি। তারা সেই ডিজাইন করলে আমরা ২-৩ মাসের মধ্যে জেলা ফুটবল শুরু করব।’
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে জেলা পর্যায়ে ক্রীড়া সংস্থার অধীনে ফুটবল, ক্রিকেটসহ সকল খেলা পরিচালিত হয়ে এসেছে। ২০০৮ সালে বাফুফে গঠনতন্ত্রে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে বেরিয়ে জেলা-বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন গঠন করে। সরকারের প্রভাবমুক্ত থেকে ফুটবল পরিচালনা করার লক্ষ্যে আলাদা সংস্থা করলেও আদতে স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। স্থানীয় সংগঠকরা নানা সীমাবদ্ধতায় অনেক জেলায় ফুটবল পরিচালনা করতে পারেন না। আবার বাফুফের পক্ষেও পৃষ্ঠপোষকতা বা সহায়তা দিয়ে সেই খেলা চালানো সম্ভবপর হয় না। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বিষয়টি অনুধাবন করে জেলার ফুটবলে গুরুত্বারোপ করেছেন।
আজকের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক অঞ্জন চৌধুরি পিন্টু। তিনিও জেলা পর্যায়ে খেলাধূলার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার অনুরোধ জানান, ‘জেলা পর্যায়ে খেলাধুলা ঝিমিয়ে গেছে, এখানে উপদেষ্টা আছেন, তার কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, তিনি যেন জেলার খেলাধুলার দিকে দৃষ্টি দেবেন। সবাই ভালো থাকবেন, ক্রীড়াঙ্গনের সাথে থাকবেন।’
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা তার বক্তব্যে ক্রীড়াঙ্গনের সামগ্রিক পরিবর্তনের চেষ্টার কথা ব্যক্ত করেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ক্রীড়াক্ষেত্রের পূনর্গঠন ও সংস্কার নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। ক্রীড়া বাজেটের বাজেটের যে স্বল্পতা আছে, আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি, ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও প্রণোদনা দেওয়ার।’