জীবন বাঁচাতে বাবা-মা ছাড়াই পালিয়ে এসেছে সুদানের শত শত শিশু
সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারে প্যারামিলিটারি আরএসএফের নৃশংসতা থেকে বাঁচতে বাবা-মা ছাড়াই শহরটি থেকে পালিয়ে অন্য শহরে এসেছে প্রায় ৭৫০ শিশু। যখন আরএসএফের ফাইটাররা তাণ্ডব চালানো শুরু করে তখন বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায় তারা।
এখন পর্যন্ত এল-ফাশার থেকে পালিয়ে গেছেন ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা দারফুর ডিসপ্লেসড অ্যান্ড রিফিউজিস কো-অর্ডিনেশন কমিটি গতকাল শনিবার জানায়, প্রায় সাড়ে ৭০০ শিশু জানে না তাদের বাবা-মা কোথায় আছে।
একসঙ্গে এত মানুষ শহর ছাড়ায় সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারা বেশিরভাগ গেছেন তাওইলা নামে একটি শহরে। যা এল-ফাশার থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
গত রোববার শহরটি দখল করার পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করে আরএসএফ।
ভয়াবহ এই গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পেছনে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
গত অক্টোবরেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, আরএসএফকে সাজোঁয়া যানসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র দিচ্ছে আরব আমিরাত।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এ নিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা ব্যুরো উভয় জানায়, আমিরাত থেকে সুদানের আরএসএফের কাছে সম্প্রতি অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়েছে আমিরাত। এসব অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক চীনা ড্রোন, ছোট অস্ত্র, ভারী মেশিনগান, সামরিক যান, কামান, গোলা এবং গোলাবারুদ রয়েছে।

