জিমেইল ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে
গুগলের ই-মেইল পরিষেবা জিমেইল ব্যবহারকারীরা ঝুঁকিতে রয়েছেন। কেননা, ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক আক্রমণকারীরা হ্যাক করতে পারে এই প্ল্যাটফর্ম। এআই-পরিচালিত হ্যাকিং অ্যাটাকের মুখে রয়েছে লাখ লাখ জিমেইল ব্যবহারকারী। যেটিকে সাইবার হামলার গুরুতর ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই প্ল্যাটফর্মে রয়েছে ২.৫ বিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী। যদি হ্যাকাররা হামলা চালায়, তাহলে ব্যবসা-সহ প্রচুর নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। আর বহু ব্যবহারকারীর জন্য এই খবরটি বেশ চাপের। তাই তারা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে স্যুইচ করতে চাইছেন। যদিও এটা সমাধান হতে পারে না। বরং ব্যবহারকারীরা আরও বেশি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। তাহলে জিমেইলের নিরাপত্তা কেন ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং নিরাপদ থাকার জন্য ব্যবহারকারীদের কী করতে হবে, সেই সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।
ঝুঁকির মুখে জিমেইল: যা যা জেনে রাখা জরুরি
জিমেইলের নিরাপত্তা পরিকাঠামো বর্তমানে বড়সড় ঝুঁকির মুখে পড়েছে। কারণ এআই পরিচালিত আক্রমণের সাহায্যে প্রাচীর ভাঙার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। এটি প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যক্তিগত ডেটা, ইমেল ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ডেটা আপোস করার একটি বিশাল ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। এর পাশাপাশি শুধু জিমেইল নয়, মাইক্রোসফটের আউটলুকসহ অন্যান্য মেলিং অ্যাপও বর্তমানে ব্যাপক ঝুঁকির আওতায় রয়েছে। আর অন্য ইমেল সার্ভিসে স্যুইচ করা কিন্তু একেবারেই ভালো বিকল্প নয়। কারণ ফিশিং অ্যাটাকের মুখে পড়তে পারেন ব্যবহারকারীরা। নিরাপত্তা-ভিত্তিক প্রোটন মেইল প্ল্যাটফর্ম আবার এই ধরনের আক্রমণের ক্ষেত্রে দুর্বল। যা ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ফোর্বসের একটি রিপোর্টে দাবি, এই সময়ে অন্য প্ল্যাটফর্মে স্যুইচ না করাই ভালো। কারণ এতে সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু অনলাইন পরিবর্তন করা হলে ব্যক্তিগত ডেটা নিরাপদ করার ক্ষেত্রে বড়সড় প্রভাব পড়বে।
গুগলের বক্তব্য, সেন্ডারের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ ধরা পড়লে প্ল্যাটফর্ম থেকে ইউজার ওয়ার্নিং পাঠানো হয়। সেই কারণে এই ধরনের ওয়ার্নিং যদি আসে, তাহলে কোনও ইমেলে ক্লিক করা যাবে না। কিংবা অজ্ঞাতপরিচয় প্রেরকের দ্বারা পাঠানো লিঙ্কেও ক্লিক করা যাবে না। দ্বিতীয়ত মেল, টেক্সট মেসেজ অথবা ফোন কলের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সব মেল অথবা মেসেজ থেকে সতর্ক হতে হবে, যা আর্জেন্সি প্রদর্শন করে।